বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতের সবথেকে কঠিন পরীক্ষা বলে বিবেচিত ইউপিএসসি ক্র্যাক করার জন্য বছরের পর বছর ধরে চেষ্টা করেন লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতী। তবে পরীক্ষার্থীদের অধিকাংশই চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছানোর আগেই হাল ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। তবে শেষ পর্যন্ত যেন লড়াই চালিয়ে যান তারা কিন্তু সফল (Success Story) হন।
গামিনীর সাফল্যের কাহিনী (Success Story)
আজ আমরা আজকের প্রতিবেদনে এমন এক আইএএস (Indian Administrative Service) অফিসারের গল্প শোনাতে চলেছি যিনি ইউপিএসসি (Union Public Service Commission) পরীক্ষার জন্য ছেড়ে দিয়েছিলেন মোটা বেতনের চাকরি। তবে নিজের অধ্যাবসা ও মেধার সাহায্যে স্বপ্ন পূরণ করে ২০২১ সালে সারা ভারতে তৃতীয় স্থান অর্জন করেন গামিনী সিংলা।
আরোও পড়ুন : এইসব নারীরা যেন সাক্ষাৎ মাতৃরূপ! দেখা উচিত মায়ের মত করেই, বলছেন স্বয়ং চাণক্য
পাঞ্জাবের আনন্দপুর সাহেবের বাসিন্দা গামিনী ২০১৯ সালে চণ্ডীগড়ের পাঞ্জাব ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি.টেক সম্পন্ন করেন। গামিনীর বাবা ডাঃ অলোক সিংলা এবং মা ডাঃ নীরজা সিংলা কর্মরত মেডিকেল অফিসার হিসেবে। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে বি.টেক সম্পন্ন করে আন্তর্জাতিক কোম্পানি জেপি মরগানে কাজের প্রস্তাব পান গামিনী।
আরোও পড়ুন : তলানিতে TRP, জি এর কাছে “হেরে ভূত”, নতুন মেগার আগমনে কোপ জলসার দুটি সিরিয়ালে!
একদিকে মোটা বেতনের প্যাকেজ, অন্যদিকে কর্মসূত্রে বিশ্ব ভ্রমণের সুযোগ, তবুও ইউপিএসসি (UPSC) পরীক্ষার স্বপ্নে বিভোর গামিনী হেলায় ছেড়ে দেন সেই লোভনীয় চাকরির প্রস্তাব। একটি সাক্ষাৎকারে আইএএস অফিসার গামিনী বলেছিলেন, পরিবারের সাহায্য ছাড়া এতদূর আসা সম্ভব হত না। গামিনী জানান, তার চলার পথে মানসিক ও শিক্ষাগতভাবে প্রচুর সাহায্য করেছিলেন বাবা।
প্রথমবার ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ব্যর্থ হন গামিনী। তবে দ্বিতীয়বারে সারা ভারতে তৃতীয় স্থান অর্জন করে তাক লাগিয়ে দেন সবাইকে। গামিনীর মতে, ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসার আগে প্রয়োজন মানসিক প্রস্তুতির। বারবার ব্যর্থ হলেও ভেঙে পড়লে চলবে না। কঠোর পরিশ্রম, সঠিক কৌশল, পুনর্বিবেচনা, উত্তর লেখার অনুশীলন এবং ইতিবাচক মনোভাবই এনে দিতে পারে সফলতা।