বাংলাহান্ট ডেস্ক : শার্ক ট্যাঙ্ক ইন্ডিয়ার চতুর্থ সিজনে এবার বিচারকের আসনে দেখা যাবে ভিরাজ বাহলকে। ভিবা ফুডসের প্রতিষ্ঠাতা ভিরাজ বাহলের সফলতার কাহিনী (Success Story) রূপকথার গল্পের চেয়ে কম কিছু নয়। একটা সময়ে লস খেয়ে বন্ধ করতে হয়েছিল রেস্তোরাঁর ব্যবসা। স্বপ্ন পূরণের জন্য বিক্রি করে দিতে হয়েছিল বাড়ি।
ভিরাজ বাহলের সফলতার কাহিনী (Success Story)
তবুও অদম্য ইচ্ছে শক্তির উপর ভর করে ভিরাজ (Viraj Bahl) তৈরি করে ফেলেছেন ১ হাজার কোটি টাকার কোম্পানি। এফএমসিজি সেক্টরের সস প্রস্তুতকারী সংস্থা ভিবা ফুডসের উত্থানের কাহিনী বেশ চমকপ্রদ। ছোটবেলা থেকেই ভিরাজের টান ছিল ব্যবসার প্রতি। সময় পেলেই চলে যেতেন বাবার কারখানায়।
বিরাজের বাবা রাজীব বাহল চেয়েছিলেন আর্থিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ভিরাজ ব্যবসায় (Business) পদার্পণ করুন। এমন সময় মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে একটি নামি সংস্থায় মোটা বেতনের চাকরিও পেয়ে গিয়েছিলেন ভিরাজ। তবে চাকরি জীবন মোটেই খুশি করতে পারছিল না ভিরাজকে। ২০০২ সাল নাগাদ বাবার অনুমতি নিয়ে ভিরাজ যোগদান তাদের পারিবারিক ব্যবসা ফান ফুডস-এ।
আরোও পড়ুন : আদৃতকে টেক্কা দিয়ে এগোলেন ‘রায়ান’ উদয়, সৌমিতৃষার অভাবে জনপ্রিয়তা হাওয়া ‘উচ্ছেবাবু’র?
তবে ২০০৮ সাল নাগাদ সেই কোম্পানি এক জার্মান চিকিৎসককে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন রাজীব বাহল।তারপর ২০০৯ সালে ‘পকেট ফুল’ নামক রেস্তোরাঁর ব্যবসায় নামেন ভিরাজ। চার বছরে খুলে যায় পকেট ফুলের ৬টি আউটলেট। তবে ২০১৩ সাল নাগাদ চরম লসের মুখে পড়ে ঝাঁপ বন্ধ হয় সংস্থার। যদিও এই দুর্ঘটনা দমাতে পারেনি ভিরাজকে।
স্ত্রীর সহযোগিতায় ২০১৩ সালে ভিরাজ প্রতিষ্ঠা করেন ভিবা ফুডস। নতুন ব্যবসা শুরু করার জন্য ভিরাজকে বাড়ি বিক্রি পর্যন্ত করতে হয়। উন্নত মানের সস প্রস্তুতকারক হিসাবে ধীরে ধীরে গোটা দেশে জনপ্রিয়তা লাভ করে ভিবা ফুডস (Veeba Foods)। বর্তমানে ভিবা ফুডস পরিণত হয়েছে ১ হাজার কোটি টাকার কোম্পানিতে। এখন সাফল্যের (Success Story) মুখ দেখেছেন তিনি।