ISRO-র হ্যাটট্রিক! তৃতীয়বার “পুষ্পক বিমান”-এর সফল অবতরণ, ইতিহাস সৃষ্টি ভারতের

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার ফের বড়সড় সাফল্য হাসিল করল ISRO (Indian Space Research Organisation)। মূলত, রবিবার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা আরও একটি বিশেষ নজির গড়েছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ISRO রিইউজেবল লঞ্চ ভেহিক্যাল (RLV) ল্যান্ডিং এক্সপেরিমেন্ট (LEX)-এর তৃতীয় এবং সর্বশেষ সফলতা অর্জন করেছে। ইতিমধ্যেই ISRO-র তরফে “X” মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে। জানিয়ে রাখি যে, LEX সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ পরীক্ষাটি কর্ণাটকের চিত্রদুর্গার অ্যারোনটিক্যাল টেস্ট রেঞ্জে (ATR) সম্পন্ন হয়।

এদিকে, RLV LEX-1 এবং LEX-2 মিশনের সাফল্যের পর এটি ছিল RLV LEX-3 মিশন। এই মিশনগুলি অত্যধিক চ্যালেঞ্জিং রিলিজ পরিস্থিতিতে সম্পন্ন হয়। অপরদিকে, RLV-র অটোনোমাস ল্যান্ডিং ক্ষমতা আবার প্রদর্শিত হয়েছে। জানিয়ে রাখি যে, LEX-3-এর ক্রস রেঞ্জ RLV LEX-2-এর ১৫০ মিটারের পরিবর্তে ৫০০ মিটার রাখা হয়েছিল। এমতাবস্থায় ISRO জানিয়েছে, “ISRO RLV LEX-এ হ্যাটট্রিক করেছে। চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে অ্যাডভান্সড অটোনমাস ক্ষমতা প্রদর্শন করে সুনির্দিষ্ট অনুভূমিক অবতরণ করেছে।”

ISRO আরও জানিয়েছে যে, ডানাবিশিষ্ট পুষ্পক বিমানটি ভারতীয় বায়ুসেনার একটি চিনুক হেলিকপ্টার থেকে ৪.৫ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে রিলিজ করা হয়। এই রিলিজ পয়েন্টটি রানওয়ে থেকে ৪.৫ কিমি দূরে ছিল। পুষ্পক স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্রস-রেঞ্জ কারেকশন ম্যানুভারস সঞ্চালিত করে এবং রানওয়ের কাছে চলে আসে। পাশাপাশি, রানওয়ের সেন্ট্রাল লাইনে একটি নিখুঁত অনুভূমিক অবতরণ সম্পন্ন করে।

আরও পড়ুন: সুপার এইটে বদলে গেল সমীকরণ, চাপ বাড়ল ভারতের! এভাবে সেমিতে যেতে পারবে বাংলাদেশ

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, RLV LEX-এ একাধিক সেন্সর ফিউশন ব্যবহার করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ইনর্শিয়াল সেন্সর, রাডার অল্টিমিটার, ফ্লাশ এয়ার ডেটা সিস্টেম, সিউডোলাইট সিস্টেম এবং নেভিগেশন সিস্টেমের মতো সেন্সর। এই মিশনটি ছিল বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের নেতৃত্বে একটি সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা। যেখানে ISRO-র স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার, ISRO টেলিমেট্রি, ট্র্যাকিং অ্যান্ড কমান্ড নেটওয়ার্ক, সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার SHAR, শ্রীহরিকোটাও সামিল ছিল।

আরও পড়ুন: T20 বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবথেকে বড় অঘটন! অস্ট্রেলিয়াকে হেলায় হারাল আফগানিস্তান

এই সংস্থাগুলি এই মিশনকে করেছিল সাপোর্ট: সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই মিশনটিতে ভারতীয় বিমান বাহিনী, অ্যারোনটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এস্টাব্লিসমেন্ট, এরিয়াল ডেলিভারি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এস্টাব্লিসমেন্ট, মিলিটারি এয়ারওয়ার্ডিনেস অ্যান্ড সার্টিফিকেশন সেন্টারের অধীনে আঞ্চলিক মিলিটারি এয়ারওয়ার্ডিনেস সেন্টার, ন্যাশনাল অ্যারোস্পেস ল্যাবরেটরিজ, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি কানপুর, ইন্ডিয়ান অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিয়াল কর্পোরেশন, ইন্ডিয়ান অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিয়াল কর্পোরেশন ও ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য সমর্থন পাওয়া গেছে।

Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

X