বাংলাহান্ট ডেস্ক : বৃহস্পতিবার সারা দুনিয়াকে চমকে দিয়ে অগ্নি-৫ (AGNI 5) এর প্রথম মহড়ায় সফল হল ভারত। ডিআরডিও (DRDO) সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই মিসাইল অন্তত ৫০০০ কিমি দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। প্রতিরক্ষা দফতর জানাচ্ছে দেশের সামরিকক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তি কতটা কার্যকরী সেটা পরখ করে দেখা হয়েছে। আর তাতে ১০০ শতাংশ সফল হয়েছে ভারত। শুধু তাই নয়, অগ্নি ৫ এর পাল্লাও প্রয়োজনে বৃদ্ধি করা সম্ভব দাবি করেছ ডিআরডিও। আর যদি প্রয়োজন হয় তবে সেটাও করতে পিছু হটবে না ভারত।
অগ্নি সিরিজের সব থেকে আধুনিক মিসাইলগুলির মধ্যে অন্যতম হল অগ্নি ৫ মিসাইল। প্রায় ৫ হাজার কিমি দূরে আঘাত হানতে পারে এই মিসাইল। এক আঘাতেই শত্রুঘাঁটি তছনছ করে দিতে সক্ষম এই মিসাইল। ভারতের হাতে অগ্নির যে সিরিজ রয়েছে সেটার মধ্যে পাল্লার দিক থেকে দেখলে অগ্নি ১ মিসাইল ৭০০ কিমি দূরে আঘাত হানতে পারে। অগ্নি ২ যেতে পারে প্রায় ২০০০ কিমি দূরে। অগ্নি ৩ ও অগ্নি ৪ মিসাইল অন্তত ৩৫০০ কিমি দূরে আঘাত হানতে সক্ষম। আর সবশেষে অগ্নি ৫-এর ৫০০০ কিলোমিটারের দূরন্ত যাত্রায় ঘুম উড়েছে শত্রু দেশের।
কিছুদিন আগেই তাওয়াং সীমান্তে উত্তাপ বাড়িয়ে চিনের লাল ফৌজ। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের চেষ্টা করছিল চিনের সেনা। তখনই দু দেশের সেনার মধ্যে প্রবল সংঘর্ষ বাঁধে। দুপক্ষের একাধিক সেনা এতে জখম হয়। তবে কারোর মৃত্যু হয়নি বলে জানা গিয়েছে। এনিয়ে বিবৃতিও দেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এরই সঙ্গে লাদাখ সীমান্তেও সামরিক নির্মাণ চালাচ্ছে চিনের বায়ু সেনা। বাড়াচ্ছে সৈন্য সংখ্যাও। এরই মধ্যে এবার অগ্নি ৫ এর পরীক্ষায় সফল হল ভারত। এই সাফল্য সরাসরি চিনকে জবাব দেওয়া হল বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।
এই ক্ষেপণাস্ত্রকে চলমান উৎক্ষেপণ যানের মাধ্যমে উৎক্ষেপণ করা যাবে। অগ্নি-৫-এর দৈর্ঘ্য সাড়ে ১৭ মিটার। পরিধি ২ মিটার। ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী অ্যান্টি ব্যালিস্টিক মিসাইল সিস্টেমকেও ধোঁকা দিতে সক্ষম এটি। প্রসঙ্গত, গত বছর ভারতের অগ্নি ৫ এর মহড়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে চিন। এটি ভূমি থেকে ভূমি ব্যালিস্টিক মিসাইল। সেনাবাহিনীর রিপোর্ট বলছে, আগামী ৫-৬ বছরে ভারত তৈরি করতে চলেছে হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্রহ্মস-২। সব মিলিয়ে চিনের কপালে যে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তা বলাই যায়।