বাংলাহান্ট ডেস্ক : আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা (Terrorist Attack) চললো জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir)। ফিরে এল সেই ভয়ঙ্কর পাঠানকোটের (Pathankot Terrorist Attack) স্মৃতি। ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army) একটি ঘাঁটিতে আত্মঘাতী হামলা চালায় জেহাদিরা। এখনও পর্যন্ত সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে দুই সন্ত্রাসবাদী। শহিদ হয়েছেন তিন জওয়ান। গোটা এলাকা ঘিরে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী (BSF)।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার রাজৌরি টাউন থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে আত্মঘাতী হামলা চালায় একদল সন্ত্রাসবাদীরা। আচমকা সেনাশিবিরে ঢুকেই নির্বিচারে গুলির বৃষ্টি শুরু করে জঙ্গিরা। পালটা জবাব দেন জওয়ানরাও। সেনা সূত্রে খবর, বেশ কিছুক্ষণ ধরে গুলির লড়াইয় চলার পর দুই আত্মঘাতী জঙ্গি নিহত হয়েছে। শহিদ হয়েছেন তিন জওয়ান। এই এলাকায় আরও সন্ত্রাসবাদী লুকিয়ে থাকতে পারে বলেই মনে করছে সেনা বিভাগ। সেনাশিবির ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে জোরদার তল্লাশি অভিযান চলছে বলে জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার উপত্যকায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ছক বানচাল করে সেনাবাহিনী।পুলওয়ামায় (Pulwama) উদ্ধার করা হয় প্রায় ৩০ কেজি ওজনের আইইডি। নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় স্বাধীনতার দিবসের মাত্র চারদিন আগেই অল্পের জন্য এড়িয়ে যায় ২০১৯ সালের ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পুনরাবৃত্তি। কিন্তু আজ ফের সেনাশিবিরে জঙ্গি হামলায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে নিরাপত্তা মহলে।
পাশাপাশি, বুধবার সকালে বদগাঁও এলাকায় একটি গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা দেয় কাশ্মীর পুলিশ। জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই চলে তাদের। সেখান থেকেই তিন লস্কর-ই-তইবা জঙ্গিকে ঘিরে ফেলে তারা। কাশ্মীরি পণ্ডিত রাহুল ভাট এবং আমরিন ভাটের হত্যার ঘটনায় জড়িত কুখ্যাত লস্কর জঙ্গি লতিফ রাঠেরও ছিল সেই দলে। বেশ কিছুক্ষণ গুলির লড়াই চলার পর নিহত হয় তিন জঙ্গি।
২০১৬ সালের ২ জানুয়ারি পাঞ্জাবের পাঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে আত্মঘাতী হামলা চালায় জঙ্গিরা। প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে চলতে থাকা গুলির লড়াইয়ে মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ৬ ছিলেন নিরাপত্তারক্ষী। একজন সাধারণ নাগরিকেরও মৃত্যু হয় এই হামলায়। নিকেশ হয় ৬ হামলাকারী। সেই হামলার ভয়াবহতা আজও ক্ষত চিহ্নের মতোই রয়ে গেছে ভারতবাসীর মনে।