যুদ্ধ বিমানের জন্য আপৎকালীন রানওয়ে তৈরিতে আপত্তি SUCI এর, শুরু জোর বিতর্ক

Bangla Hunt Desk: সম্প্রতিকালে ভারত-পাক কিংবা ভারত-চীন সীমান্তে উত্তেজনা তুঙ্গে। সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সেনারা (Indian army) দিনরাত এক করে বহির্বিশ্বের শত্রুর হাত থেকে দেশকে রক্ষা করে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদায় একটি আপৎকালীন রানওয়ে নির্মানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। ভারতীয় বায়ুসেনাদের এই উদ্যোগে বাঁধসাধল SUCI (Socialist Unity Centre of India)। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিল এক ডেপুটেশন।

তৈরি হবে আপৎকালীন রানওয়ে
ভারতীয় বায়ুসেনা এবং জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে বেলদার বাখরাবাদের ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে থানার শ্যামপুরা থেকে পোস্তাপুল পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তার উপর আপৎকালীন যুদ্ধ বিমান ওঠা-নামার রানওয়ে নির্মানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে দেশের ১৩টি জায়গায় এই আপৎকালীন জায়গায় এই রানওয়ে নির্মানের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

runway 13 yvr

প্রস্তুতি চলছিল
রানওয়ে নির্মানের জন্য রাস্তার দুধার থেকে সমস্ত গাছপালা কেটে দুদিক থেকে প্রায় ৩০ মিটার জায়গা বৃদ্ধিও করা হয়েছে। রাস্তার মাঝখানের ফুল গাছ লাগানোর জায়গা বুজিয়ে রানওয়ে নির্মানের কাজ শুরুর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেইমত বায়ুসেনার আধিকারিকেরা বৃহস্পতিবার সমস্ত কাজ খতিয়ে দেখতে বেলদা এসেছিলেন।

যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সুবিধা হবে সেনাদের
শত্রু দেশের সঙ্গে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ভারতের সেনারা যাতে যে কোন প্রয়োজনে যুদ্ধ বিমান  আকাশ থেকে মাটিতে নামতে পারেন, সেই কারণেই এই সকল আপৎকালীন রানওয়ে নির্মানের পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিশেষত, যেসকল স্থানে এয়ারবেস রয়েছে, তাঁর পার্শ্ববর্তী স্থানেই এই রানওয়ে নির্মানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, বেলদা থেকে কিছুটা দূরেই রয়েছে খড়গপুরের সালুয়ায় ভারতীয় সেনার এয়ার বেস ক্যাম্প।

ranway

বাঁধা দিল SUCI
সবকিছু ঠিকঠাক গতিতে চললেও, এই কাজে বাঁধা দিল SUCI। তাঁদের দাবি, বাখরাবাদ এলাকা জনবহুল হওয়ায় সেখানে রানওয়ে নির্মান করা যাবে না। সেই কারণে গত শুক্রবার তারা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে রানওয়ে নির্মানের বিরুদ্ধে একটি ডেপুটেশন জমা দেয়।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর