বাংলাহান্ট ডেস্ক : গত বছর ছাত্র-জনতা আন্দোলনের চাপে একপ্রকার বাধ্য হয়েই বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন শেখ হাসিনা। হাসিনা পরবর্তী সময়ে মোঃ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেও বাংলাদেশের অস্থিরতা যেন কিছুতেই কমার নয়।
বাংলাদেশের (Bangladesh) অর্থপ্রাপ্তি
অশান্তির আবহেই ইউনূস সরকারের কাছে অন্যতম বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সে দেশের ধুঁকতে থাকা অর্থনীতি। তবে ফের একবার বিদেশি পরিযায়ীদের পাঠানো টাকায় একটু একটু করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা। একাধিক সূত্র দাবি করছে, ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরে গত অর্থবর্ষের তুলনায় বাংলাদেশের জিডিপি হ্রাস পেয়েছে ১ শতাংশ।
আরও পড়ুন : সদ্য বেড়েছে বেতন! রাজ্যের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে এবার কড়া ‘অ্যাকশনে’ স্বাস্থ্য দফতর
বাংলাদেশের (Bangladesh) অর্থনীতির অন্যতম বড় চালিকাশক্তি বস্ত্র শিল্পের রপ্তানি মার খাওয়ায় রীতিমতো বিদেশি মুদ্রার অভাবে নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে ইউনূস (Mohammad Yunus) প্রশাসনকে। পাশাপাশি রেমিট্যান্স বা বিদেশ থেকে পরিযায়ীদের টাকা পাঠানো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বড় সংকটের মুখোমুখি হয় পদ্মা পারের অর্থনীতি। তবে সেই খরা কাটিয়ে ধীরে ধীরে ফের একবার পরিযায়ীদের পাঠানো টাকায় মুখে হাসি ফুটছে ইউনূস প্রশাসনের।
আরও পড়ুন : শীলমোহর! সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী, কবে হচ্ছেন চিফ জাস্টিস?
সরকারি সূত্রে খবর, পরিযায়ীদের পাঠানো টাকা বা রেমিট্যান্সের উপর নির্ভর করে বাংলাদেশের (Bangladesh) জিডিপির ৬ থেকে ৭ শতাংশ। বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো বন্ধ হয়ে গেলে তার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ে অর্থনীতির উপর। ধুঁকতে থাকে জিডিপি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের সময়ে ঘটেছিল এমনটাই। তবে বর্তমানে কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হয়েছে পরিস্থিতি।
বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিকদের টাকায় স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে কোষাগারে। বাংলাদেশের (Bangladesh) সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ২০২৫ সালের প্রথম দুই মাসেই রেমিট্যান্স হিসাবে বাংলাদেশে এসেছে ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। পাশাপাশি মার্চ মাসের প্রথম ৮ দিনেই বাংলাদেশের কোষাগারে যুক্ত হয়েছে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা।