বাংলা হান্ট ডেস্কঃ “চলনা দীঘার সৈকত ছেড়ে ঝাউ বনের ছায়ায় ছায়ায়, শুরু হোক পথচলা শুরু হোক কথা বলা।” পিন্টু ভট্টাচার্যের এই গানই সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দেয় বাঙালির দীঘার প্রতি আকর্ষণের কথা। সমুদ্রে শরীর ভেজাতে সময়-অসময় মানুষ হাজির হন দীঘায়। যে দীঘার সমুদ্র সৈকতকে নিয়ে কবিদের এত কল্পনা, তাই এবার হয়ে উঠল রীতিমতো কর্দমাক্ত এবং নোংরা জলে পরিপূর্ণ। কিভাবে এই ঘটনা ঘটছে, তা এখনও জানা যায়নি।
কোভিড প্যানডেমিকের পর একটু একটু করে আবার সামলে উঠতে শুরু করেছে পর্যটন শিল্পগুলি। ভ্যাকসিন নিয়ে ঘর থেকে বেরোতে শুরু করেছেন মানুষ। এই সূত্র ধরেই কলকাতা এবং তার আশপাশের অঞ্চলের বহু মানুষ ভিড় করেছিলেন দীঘায়। লক্ষ্য ছিল সমুদ্র স্নান। কিন্তু স্বাধীনতা দিবসের ঠিক আগে আনন্দটাই মাটি হয়ে গেল পর্যটকদের। সমুদ্রের জল যেন ঘোলা কর্দমাক্ত। স্নান করতে গেলেই চোখে মুখে কানে ঢুকে যাচ্ছে ঘোলাটে কালো জল। জলের এই রংবদলে হতবাক সকলেই। কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটছে অবশ্য এখনও জানা যায়নি।
দীঘায় এধরনের ঘটনা ঘটেনি কখনোই। জল ছিল অত্যন্ত পরিষ্কার। আর সেই কারণেই স্নান করতে ভিড় করেন এত মানুষ। আপাতত সমুদ্রস্নান সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। ঘটনাটি খতিয়ে দেখবেন পরিবেশবিদরাও। এই রং বদল সাময়িক, নাকি এবার সম্পূর্ণরূপেই নষ্ট হতে বসল দীঘার সৌন্দর্য সেটাই এখন চিন্তার সকলের।
আপাতত এতদিনের বন্দীদশার পর বাইরে বেরিয়ে ছিলেন যে পর্যটকরা, তাদের ফের একবার ফিরতে হচ্ছে ম্লান মুখেই। জানা গিয়েছে হাওড়া, কলকাতা, মুর্শিদাবাদ সহ বিভিন্ন এলাকা থেকেই ভিড় করেছিলেন পর্যটকরা। আপাতত এই বিস্ময়কর ঘটনার কারণে তাদের ফিরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।