বাংলাহান্ট ডেস্ক : সাত সকালেই আজ রাজ্য জুড়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছে সিবিআই। মোট ৭ জায়গায় এক যোগে শুরু হয় তল্লাশি। রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের (Malay Ghatak) বাড়িতেও আজ সকাল থেকে সিবিআই (CBI) তল্লাশি শুরু করে। এদিন মলয় ঘটকের আসানসোলের তিনটি বাড়িতে হানা দেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। এই নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যজুড়ে। কিন্তু বেলা বাড়তে দেখা যায়, আসানসোলে মলয় ঘটকের বাড়ি থেকে এক রকম খালি হাতেই বেরোচ্ছে সিবিআই-এর দল।
সিবিআই আধিকারিকরা চলে যাওয়ার পর সাংবাদিকদের মলয় ঘটকের স্ত্রী সুদেষ্ণা ঘটক বলেন, ‘ওঁরা এসেছিলেন। ওঁরা ভাবতেও পারেননি যে কোনও মন্ত্রীর বাড়ি এমনও হতে পারে। আমাকে বললেন, ম্যাডাম এর আগে যে সব দেখেছি, সে তুলনায় আপনাদের বাড়ি একদমই অন্যরকম।’ মন্ত্রী-পত্নী আরও বলেন, ‘আমরা তো ভেবেছিলাম, কী না না কী করবে! কিন্তু ওঁরা ভীষণ ভাল ব্যবহার করেছেন। আমিও ওঁদের সঙ্গে ভাল ব্যবহারই করেছি।’
মলয় ঘটকের স্ত্রীকে সংবাদ মাধ্যম প্রশ্ন করে এতই যদি ভাল ব্যবহার করে থাকে, তা হলে ওদের আলমারি ভাঙার দরকার পড়ল কেন? জবাবে সুদেষ্ণা ঘটক বলেন, ‘আলমারির চাবিটাই পাওয়া যাচ্ছিল না। আমিই চাবিওয়ালা ডেকেছিলাম, নতুন চাবি বানানোর জন্য।’ মলয়বাবুর স্ত্রী আরও জানান, সিবিআই আধিকারিকরা নিজেরা আলমারি ঘাঁটাঘাটি করেননি। তাঁরা নাকি ভদ্র ভাবে সুদেষ্ণাকে বলেছেন, ‘আপনিই জামাকাপড় আলমারি থেকে নামান। আমরা দেখে নিই। তার পর আবার আপনিই সব তুলে রাখবেন।’
মলয় ঘটকের আসানসোলের বাড়িতে ফলস সিলিংও ভাঙা হয়েছে বলে খবর আসে। কিন্তু মলয়বাবুর স্ত্রী জানান, তা একেবারেই ঠিক নয়। চিলেকোঠার ঘরে সিবিআই গোয়েন্দারা গিয়েছিলেন ঠিকই। সেখানে ভাঙা ট্রাঙ্ক, আলমারি রাখা রয়েছে। সিবিআইয়ের এক আধিকারিক নাকি তাঁকে আবার পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, ‘ম্যাডাম বাড়িতে ভাঙা জিনিস রাখবেন না। এটা অশুভ।’
বেআইনি কয়লা পাচার কাণ্ডে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে পর পর তিন বার নোটিস পাঠিয়েছে ইডি। কিন্তু মলয় একবারও যাননি। তিনি কেন যাননি তা নিয়ে কৌতূহল ছিল সকলেরই। এরই মধ্যে বুধবার এক সঙ্গে সাত জায়গায় তল্লাশিতে নামে সিবিআই। তবে মলয়বাবুর স্ত্রী দাবি করেছেন, সিবিআই তাঁদের বাড়ি থেকে কিছু নেয়নি। তাঁর কথায়, ‘ওঁদের হাতে কি কিছু দেখলেন? কিছুই নেয়নি ওঁরা। তবে হ্যাঁ ওরা প্রচুর লেখালেখি করছিলেন। বলছিলেন, ম্যাডাম আপনার বাড়ি থেকে আমরা কিছু যে নিইনি সেটারও প্রমাণ রাখতে হবে। সেই সব কাগজে আমাকে দিয়ে সই করিয়ে নিয়েছেন ওঁরা।’