বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিনোদুনিয়ায় বিচ্ছেদ এখন অতি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘদিনের মজবুত সম্পর্কও আচমকা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে দেখা যাচ্ছে। তাই গত শনিবার আচমকা সুদীপ মুখোপাধ্যায় (Sudip Mukherjee) এবং পৃথা চক্রবর্তীর বিচ্ছেদের খবর ভেসে আসতে জোর চমকেছিলেন নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে হঠাৎই বিচ্ছেদের খবর জানান সুদীপ জায়া। এদিকে অভিনেতা দাবি করেন, কী হচ্ছে কিছুই নাকি তিনি জানেন না। ধোঁয়াশার মধ্যে থাকার পর অবশেষে মুখ খুলেছেন সুদীপ (Sudip Mukherjee)। তাঁর বক্তব্য, পৃথা নাকি স্রেফ মজা করছিলেন!
ডিভোর্স নিয়ে মজা করে বিতর্কে সুদীপ (Sudip Mukherjee) পৃথা
সম্প্রতি একটি ভিডিও পোস্ট করে সুদীপ বলেন, তাঁর স্ত্রী পৃথা মজা করেই বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে পোস্ট করেন। চারিদিকে এত বিচ্ছেদের খবরে পৃথার নাকি মনে হয়েছিল, তাঁদের নিয়েও যদি কখনো এমন খবর বেরোয় তাহলে কেমন হবে! সেই ভাবনা থেকেই নাকি এমন রসিকতা বলে দাবি সুদীপের (Sudip Mukherjee)। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে নাকি পৃথা ভেবে দেখেননি।
কী লেখেন পৃথা: প্রসঙ্গত, শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পৃথা লেখেন, ‘আমি এবং সুদীপ মুখোপাধ্যায়, আমরা আর একসঙ্গে নেই। আমাদের অফিশিয়ালি ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে। আমরা চিরদিন বন্ধু হয়ে থাকব’। খবরটায় বিশ্বাস করে উঠতে পারেননি অনেকেই। হঠাৎ কী এমন হয়ে গেল যে আচমকাই আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন সুদীপ (Sudip Mukherjee) পৃথা, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছিলেন অনেকেই।
আরো পড়ুন : অন্য রকম হওয়ার কথা ছিল শেষটা, ‘সপ্তপদী’র ক্লাইম্যাক্স বদলাতে বাধ্য করেন সুচিত্রা! কিন্তু কেন?
কী বলছেন নেটিজেনরা: এখন সুদীপের (Sudip Mukherjee) ‘সাফাই’ শুনে কার্যত ক্ষুব্ধ নেটজনতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। ওদিকে পৃথাও থামার পাত্রী নন। সম্প্রতি তিনি লেখেন, ‘তার নতুন প্রেমিকা কখনোই নতুন ছিল না। আপনিই শুধু জানতেন না’। পরকীয়ার গুঞ্জন উঠতেই তড়িঘড়ি পৃথা বলেন, এটা মজা ছিল আর মজা হিসেবেই যেন দেখা হয়।
আরো পড়ুন : শেষে কিনা গল্প “চুরি” করে অস্কারে! কিরণের ‘লাপাতা লেডিজ’ নিয়ে সরব ‘বুরখা সিটি’র পরিচালক
এরপরেই সম্প্রতি ফের একটি পোস্ট করেছেন পৃথা। এবার তিনি লিখেছেন, ‘যা চোখে দেখা যায়, সেটা হয় না। যা হয়, সেটা দেখা যায় না’। এই পোস্টের কমেন্ট বক্সেই উঠেছে সমালোচনার ঝড়। একজন লিখেছেন, ‘প্রচারের লোভে এমন একটা জঘন্য জিনিস করলেন, লজ্জা হওয়া উচিত’। আরেকজন লিখেছেন, ‘আপনাদের জন্য ডিভোর্স মজা করার মতো বিষয় হলেও অনেকের কাছেই কাছে এটা খুবই স্পর্শকাতর ব্যাপার’। যদিও কোনো মন্তব্যের উত্তর দেননি পৃথা। বরং একটি নতুন পোস্টে তাঁর বক্তব্য, ‘কখনো কখনো ক্ষমা না চাওয়াই উচিত। বদলে বলা উচিত, হ্যাঁ আমি করেছি, তো?’