বাংলা হান্ট ডেস্ক: রান্নাঘরের রানি সুদীপার (Sudipa Chatterjee) রেস্তরাঁয় খাবার খেয়ে নাকি অসুস্থ হয়ে পড়ছে লোকজন। কেউ ছুটছেন বাথরুমে তো কেউ ছুটছেন হাসপাতালে। জগন্নাথধাম অর্থাৎ পুরী (Puri) বেড়াতে গিয়ে সুদীপার হেঁশেলের (Resturant) খাবার খেয়েই নাকি এরকম শোচনীয় অবস্থার সম্মুখীন হয়েছে অনেকেই। এমন অভিযোগ শুনেই তো মাথায় বাজ ভেঙে পড়েছে সুদীপা এবং তার স্বামী অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের।
একথা হয়ত অনেকেই জানেন যে, বিগত কয়েক বছর আগেই দক্ষিণ কলকাতায় সুদীপা উদ্বোধন করেছেন তার সাধের হেঁশেল ‘সুদীপার রান্নাঘর’। বেশ গুছিয়ে রেস্তোরাঁ সাজিয়েছেন তিনি। লোগো তৈরি করেছেন নিজে পছন্দ করে। আর সেই লোগো-কেই কাজে লাগিয়ে নাকি একাধিক রেস্তোরাঁ গড়ে উঠেছে কলকাতার আনাচে কানাচে। কিন্তু তার সাথে পুরীর রেস্তোরাঁর সম্পর্ক কী?
আসলে এইদিন দক্ষিণ কলকাতার চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে সকাল থেকে আসছে একের পর এক ফোন। সকলেই অভিযোগ জানাছেন, সুদীপার রেস্তোরাঁর খাবার খেয়েই নাকি ঘটেছে বিপত্তি। এত অভিযোগ জমা পড়তেই মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েছেন সুদীপা। নিরবতা ভেঙে তিনি জানিয়েছেন, ঐ রেস্তোরাঁ তার নয়। কলকাতার মত হয়ত পুরীতেও তার লোগো নকল করে ব্যবসা ফেঁদেছে কেউ।
এই নিয়ে ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট-ও করছেন তিনি। সুন্দরী সঞ্চালিকা লিখেছেন, “ছেলে আদিকে নিয়ে আমার খুবই শান্তির জগৎ এখন। তার মধ্যে এ সব ঝামেলা হলে সত্যিই ভাল লাগে না। লর্ডসের মোড়ে আমার নামে একটা রেস্তরাঁ চলে জানতাম, কিছু বলিনি। কোলাঘাটে একটি রেস্তরাঁ না জানিয়েই আমার ছবি ব্যবহার করে, কিছু বলিনি। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আর চুপ থাকতে পারলাম না। আমি আইনি পদক্ষেপ করব। কত জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন শুনছি। খুবই চিন্তার বিষয়।”
অর্থাৎ পুরীর যে রেস্তোরাঁর খাবার খেয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারা সাথে সুদীপার কোনও সম্পর্ক নেই। তবে সেই দোকানের খাবার খেয়ে যদি কারো কিছু হয়ে যায়! আপাতত সেই ভয়ে রয়েছেন সঞ্চালিকা। তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টা নিয়ে ভালো কোন আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। উল্লেখ্য, রেস্তোরাঁ ছাড়াও, আচার ও শাড়ির ব্যবসায় হাত পাকিয়েছেন সুদীপা।