‘নিশ্চয় খারাপ লেগেছে কারোর!’ গোরুর মাংস রান্না নিয়ে ক্ষমা চেয়ে কেঁদে ভাসালেন সুদীপা

   

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) রান্নার শো’তে (Cooking Show) গিয়ে গোরুর মাংস রান্না করতে গিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন এপার বাংলার সুদীপা চট্টোপাধ্যায় (Sudipa Chatterjee)। এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল ভাইরাল বাংলাদেশের জনপ্রিয় কুকারী শো ‘রাঁধুনী-এপার ওপারের রান্না’র ভিডিয়ো। ঈদ স্পেশাল সেই পর্বে কলকাতা থেকে সুদূর বাংলাদেশে গিয়েছিলেন সুদীপা।

জাতিগতভাবে তিনি একজন হিন্দু ব্রাহ্মণ। তাই ওই শোয়ের সঞ্চালিকা তারিন জাহান অনুষ্ঠানটি শুরু করতে গিয়ে ভুলবশত বলে ফেলেছিলেন, ‘সুদীপা আজকে তোমায় আমি গোরুর মাংস রান্না করে খাওয়াব।’ একজন হিন্দু ব্রাহ্মণকে অতিথি হিসাবে ডেকে গোরুর মাংস খাওনোয় ব্যাপক ট্রোলের মুখে পড়েছে বাংলাদেশের ওই শো।

দর্শকরা ছেড়ে কথা বলেননি সুদীপাকেও। এমনকি ‘জ্যন্ত পুড়িয়ে মারা’রও  হুমকি দেওয়া হয়েছে তাঁকে। ট্রোল থেকে বাদ পড়েননি তাঁর ৫ বছরের ছেলে ও পরলোকগত মা-ও। বিতর্কের মুখে পড়ে গো-মাংস রান্না নিয়ে সম্প্রতি হিন্দুস্থান টাইমসের  কাছে আগেই মুখ খুলেছিলেন সুদীপা। আর এবার  এই ঘটনায় সকলের কাছে ক্ষমাও  চাইলেন তিনি।

আরও পড়ুন: Jio-র পর Airtel, ফের দাম বাড়ছে রিচার্জের! চিন্তায় গ্রাহকরা

সম্প্রতি সনাতন টিভি-র তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়োটি শেয়ার  করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, রুমাল দিয়ে চোখের জল মুছতে মুছতে সুদীপা বলছেন, ‘এটা যখন আপনাদের মনে এত আঘাত দিয়েছে, নিশ্চয় খারাপ লেগেছে কারোর কারোর। তাঁদের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী, আবেগে আঘাত দেওয়ার জন্য। আশাকরি আগামী দিনে এটা আমি মনে রেখে, মাথায় রেখে চলব। এধরনের কিছু ঘটলে সাবধান হব অনেক বেশি। তবে আমার না সত্যিই মাথায় আসেনি এটা হতে পারে!’

‘অন্যের ধর্মাচরণে বাধা দেওয়ার অধিকার আমার নেই। যেখানে আমি একটা অন্যদেশে দাঁড়িয়ে রয়েছি। সেখানে তাঁদের জাতীয় খাবারের মধ্যে পড়ে গোরুর মাংস। সেখানে দাঁড়িয়ে আমি বলতে পারি না যে তারিণ তুমি এটা রান্না কোরো না। কারোর ধর্মীয় আচরণে বাধা দেওয়ার অধিকার অন্য কোনও ধর্মের মানুষের আছে বলে আমার তো জানা নেই। আমরা ছোটবেলা থেকে এই শিক্ষায় বড় হয়েছি যে, আমরা একই বৃন্তে দুইটি কুসুম হিন্দু-মুসলমান। মুসলিম তার নয়নমণি, হিন্দু তাহার প্রাণ।’

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর