বাংলাহান্ট ডেস্ক: কার্যত উঠতে বসতে ট্রোল হন সুদীপা চট্টোপাধ্যায় (Sudipa Chatterjee)। জি বাংলার ‘রান্নাঘর’ এর সঞ্চালিকা ছিলেন তিনি। এখন সেটা ছাড়াও পারিপার্শ্বিক আরো বেশ কিছু কাজ শুরু করেছেন সুদীপা। আগে থেকে একটি রেস্তোরাঁ তো ছিলই। এবার নিজের শাড়ি, গয়নার ব্যবসা শুরু করেছেন তিনি। এর জন্যই মাঝে মাঝেই ট্রোল হতে হয় সুদীপাকে।
এবার নিজের বইও প্রকাশ করে ফেললেন ‘রান্নাঘরের রাণী’। রকমারি রান্নার রেসিপি নিয়েই প্রকাশিত হয়েছে ‘সুদীপার রান্নাঘর’। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই সুখবরটা জানিয়ে সুদীপা লিখেছিলেন, খুব চিন্তায় রয়েছেন তিনি। অনুরাগীদের আর্জি জানিয়েছিলেন, তাঁর পাশে থাকতে। কিন্তু এমন একটা খবরেও সমালোচনা শুনতে হল তাঁকে।
এক ব্যক্তির সুদীপাকে প্রশ্ন, ‘আপনি নিজেকে কী করে বাঙালি বলতে পারেন? আগে আপনার ভাষা ঠিক করেন। আপনি বলেন যে, দিলুম। এটা আধুনিক বাংলা হলো? দিলাম এটা হলো আধুনিক বাংলা ভাষা’। এবারে আর চুপ করে থাকেননি সঞ্চালিকা। পালটা উত্তর দিয়ে ‘শুধরে’ দিয়েছেন ওই ব্যক্তিকে।
সুদীপার বক্তব্য, ‘রবিঠাকুর নিজে কতবার এরকম বলেছেন। সৌমিত্রকাকু সারাজীবন আদ্যান্ত ঘটকদের মতো ‘ছ’ কে ‘চ’ বলে গ্যাছেন… তাতে ভুল তো কিছু নেই? আর আমি কখন দাবি করেছি- আমি আধুনিক বাংলায় কথা বলবো?’ এই বিষয়ে অনেকেই সমর্থন করেছেন সুদীপাকে।
কিছুদিন আগেই অঙ্কুশ হাজরার সঙ্গে একটি ছবি দিয়ে ট্রোল হয়েছিলেন সুদীপা। তিনি পালটা উত্তর দিতেই শুরু হয় বিতর্ক। এক মহিলা জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তাঁর পরনের শাড়িটা কি ঢাকাই আর গয়নাটা কি রূপোর? ব্যস, এতেই ক্ষেপে যান সুদীপা।
সঙ্গে সঙ্গে তীব্র কটাক্ষ করে ওই মহিলাকে তিনি উত্তর দেন, ‘আমি জানি না, বাংলা ভাষাটা আজকাল এত কঠিন হয়ে গিয়েছে কারো কারো কাছে, যে সহজ সরল বাংলা বা সামান্য ইংরাজি ভাষা বোঝেন না। বেশ খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যে যাচ্ছি, সে তো বোঝাই যাচ্ছে। কোভিড হয়তো জয় করে নেব। কিন্তু অশিক্ষা আর কুরুচি জয় করব কীভাবে? আমি লিখেছিলাম যে আমি নকল গয়না পরি না, সেটা সোনার হোক কিংবা রুপোর। হে ভগবান! মানুষজন এত অশিক্ষিত হয়ে উঠেছে! একটু শান্তিতে বাঁচুন!’
সুদীপার এই উত্তর অনেককেই ক্ষুব্ধ করেছিল। তুমুল সমালোচনায় বাধ্য হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন সুদীপা। আত্মপক্ষ সমর্থন করে তিনি দাবি করেছিলেন, অন্য একজনের কুরুচিকর কটাক্ষের উত্তর দিতে গিয়ে ভুল করে বসেছেন তিনি।