বাংলাহান্ট ডেস্ক: চট্টোপাধ্যায় পরিবারে দূর্গাপুজো (Durgapuja) মানেই মহা ধুমধামের ব্যাপার। সপরিবারে মা দুগ্গাকে মেয়ের মতো বাড়িতে বরণ করে আনেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায় (Sudipa Chatterjee)। আর সেই পাঁচদিন ব্যাপী উৎসবের সূচনা হয় রথযাত্রার দিন থেকেই। অর্থাৎ এই দিন থেকেই ধুমধাম শুরু হয়ে যায় চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে।
এদিন সকাল সকাল গঙ্গার ঘাটে পৌঁছে যান অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়, সুদীপা চট্টোপাধ্যায় সহ পরিবারের বাকিরা। সেখান থেকে কুমোরটুলি চলে যান সকলে। রথযাত্রার দিনেই কাঠামোপুজো হয় চট্টোপাধ্যায় বাড়ির দূর্গাপ্রতিমার।
সংবাদ মাধ্যমকে সুদীপা বলেন, প্রথমে গঙ্গা বন্দনা সেরে তারপর সপরিবারে কুমোরটুলিতে যান তাঁরা। চট্টোপাধ্যায় বাড়ির প্রতিমার জন্য একজন বাঁধাধরা শিল্পী আছেন। তাঁর নাম পশুপতি রুদ্র পাল। এদিন তাঁর কর্মশালায় কাঠামো পুজো হওয়ার পাশাপাশি বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত জগন্নাথদেব, বলভদ্র এবং সুভদ্রার পুজোও হয়।
প্রচুর নিয়ম মেনে নিষ্ঠা ভরে দূর্গাপুজো হয় চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে। রথযাত্রার দিনে কাঠামোপুজো থেকেই রীতি নিয়ম শুরু হয়ে যায়। সঞ্চালিকা জানান, জগন্নাথদেব রথে বসলেই তাঁরাও পুজোর তোড়জোড় শুরু করে দেন। বাড়িতে বিগ্রহের অনুমতি নিয়ে শুরু করেন কিছু বিশেষ আচার।
কুমোরটুলিতে বিশ্বকর্মা ঠাকুরের অনুমতি নিয়ে মা দুর্গাকে আবাহন করা হয়। তারপর কাঠামো পুজো সেরে গঙ্গা নিমন্ত্রণ পর্ব। প্রতিমার কাঠামোতে মাটিও সর্বপ্রথম বাড়ির কর্তা অগ্নিদেবই দেন বলে জানান সুদীপা। বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রাকেও এদিন পুজো করা হয় নিয়ম মেনে থাকে বিশেষ ভোগের আয়োজন।
https://www.instagram.com/reel/CfdxnxeBo1t/?igshid=YmMyMTA2M2Y=
সুদীপা জানান, ছাপান্ন ভোগের মধ্যে অন্যতম কণিকা ভোগ এদিন নিবেদন করা হয় ঠাকুরের উদ্দেশে। তবে সুদীপারা এদিন বাইরে আমিষ খাবারই খান। কারণ হিসাবে তিনি জানান, মা দূর্গা শাস্ত্র মতে সধবা। তাই আমিষ খাওয়াই নিয়ম। বাড়িতে যেহেতু জগন্নাথের ভোগ নিরামিষ, তাই শুধুমাত্র এদিন বাইরে আমিষ খাবারে ভোজ সারেন সুদীপারা।