বাংলাহান্ট ডেস্ক: সেলিব্রিটি হওয়ার ঝক্কি কম না। সবসময় আতশকাঁচের তলায় থাকেন তারা। একটু এদিক ওদিক হলেই ওঠে আঙুল। একটা মাত্র ভুল জনপ্রিয়তার চূড়া থেকে টেনে নামানোর জন্য যথেষ্ট। সেখানে সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায় (Sudipa Chatterjee) একাধিক বার নেটিজেনদের রোষের মুখে পড়েছেন।
কিছুদিন আগেই অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপের ডেলিভারি বয়দের অসম্মান করে বিপদ ডেকে এনেছিলেন সুদীপা। তাঁকে ‘নাকউঁচু’, ‘অহংকারী’র তকমাও দিয়েছিলেন অনেকে। আমজনতা থেকে তারকা, কেউই কটাক্ষ করতে বাকি রাখেননি। পালটা দিয়েছিলেন সুদীপাও। এমনকি ক্ষমা প্রার্থনা করলেও তিনিই যে সঠিক সেটা স্পষ্টই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন সঞ্চালিকা।
সদ্য দূর্গাপুজো শেষ হয়েছে। চট্টোপাধ্যায় বাড়ির পুজো ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ বিখ্যাত। অনেকদিন ধরেই পুজো হয়ে আসছে সুদীপার বাড়িতে। প্রথম থেকে শেষ দিন পর্যন্ত পুজোর সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে থাকেন তিনি। এবারেও নিয়মের ব্যতিক্রম হয়নি।
দশমীর দিন মায়ের বিদায় বেলায় চোখ ছলছল করে উঠেছিল সুদীপার। মায়ের বরণ, সিঁদুরখেলা শেষে একান্তে নিজের প্রয়াত পোষ্য ভানুর ছবির পাশে বসেছিলেন তিনি। নেটপাড়ায় একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, ভানুর ছবির সঙ্গে আপন মনে কথা বলছেন সুদীপা। চোখ জলে ভাসছে তাঁর। মেয়েকে বিদায় দিতে হচ্ছে, পোষ্যর মৃত্যুর শোক মিলিয়ে ভারাক্রান্ত হয়ে উঠেছিল সুদীপার হৃদয়।
কিন্তু তাঁর চোখের জল মন গলাতে পারেনি নেটনাগরিকদের। একজন কটাক্ষ করেছেন, ফুটেজ পাওয়ার জন্য ‘নাটকবাজি’ করছেন সুদীপা। আবার কেউ কেউ ‘মাসিমা’ বলেও ট্রোল করেছেন সঞ্চালিকাকে। নিজের সঞ্চালনায় দক্ষতার জোরে বহু মানুষের মন জয় করেছিলেন সুদীপা। কিন্তু তাঁর এটটা ভুল যে জনপ্রিয়তায় বড়সড় একটা ফাটল সৃষ্টি করেছে তা বোঝাই যাচ্ছে।