বাংলাহান্ট ডেস্ক: রান্নাঘরের রানী সুদীপা চট্টোপাধ্যায় (Sudipa Chatterjee)। জি বাংলার রান্নাঘর বলুন কি নিজের বাড়ির হেঁসেল, দুটোই তাঁর দখলে। খাবারের স্বাদ, গন্ধ নিয়ে অনেক জ্ঞান। খেতে এবং খাওয়াতে ভালবাসেন সুদীপা। তাঁর ছেলে হয়ে আদিদেবও (Aadidev Chatterjee) যে ভোজনরসিক হবে তাতে আর সন্দেহ কী?
ভোজনরসিক মানুষ এবং রন্ধন পটিয়সীরা অনেকেই নিজে হাতে জিনিস একটু দেখেশুনে কিনতে চান। সে মাছ, সবজিই বলুন বা ফলমূল। সুদীপাও ব্যতিক্রম নন। কিন্তু তিনি একা না, ছোট্ট ছেলে আদিদেবকেও এখন থেকেই নিজের মতো তৈরি করছেন সুদীপা।
ফলাফল? সকালে বেলা গটগটিয়ে ফলের বাজারে হাজির আদিদেব। হরেক রকম ফলের মধ্যে থেকে কমলালেবু, আঙুর বেছে বেছে নিয়ে ঝুড়িতে রেখেছে সে। তারপর আবার সেসব প্লাস্টিকে ভরে দুহাত দোলাতে দোলাতে বাড়ি ফিরেছে। ক্যাপশনে সুদীপা লিখেছেন, ‘ছোট্ট আদি বাজার করতে ব্যস্ত। আমাদের পরিবারের জন্য প্রতিদিনের ফল কিনতে ও আমাকে সাহায্য করে। এভাবেই প্রত্যেকটা নতুন নতুন শিক্ষার সঙ্গে ওকে সহজ করতে তোলার চেষ্টা করি। ও সব সবজি, ফল চিনতে পারে আর টাকা গুণে দিতেও পারে।’
সুদীপা জানান, এখন ছেলের স্কুলে গরমের ছুটি চলছে। তাই এই সময়টাকে সম্পূর্ণ ভাবে কাজে লাগাতে চাইছেন তিনি। বাড়ির কাজ সহ বাইরের টুকটাক কাজেও আদিদেবকে ছোট থেকেই যুক্ত রাখার চেষ্টা করছেন তিনি। এই বয়স থেকেই নিজে দেখেশুনে বাজার করতে শিখলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে বলেই মত সুদীপার।
https://www.instagram.com/reel/Cd7agA6Bit2/?igshid=YmMyMTA2M2Y=
তিনি নিজেও ছোট থেকেই এ ভাবে বড় হয়েছেন বলে জানান রান্নাঘরের সঞ্চালিকা। তিনি অবশ্য যৌথ পরিবারে বড় হয়েছেন। আর আদিদেব বড় হয়ে উঠছে নিউক্লিয়ার ফ্যামিলিতে। বাবা মায়ের খুব আদরের, যত্নের সন্তান। এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা বিনোদন বলতে শুধু অনলাইন গেমই বোঝে। বাইরের জগৎ সম্পর্কে ধারণাই হয় না তেমন।
আর বড় হলে হঠাৎ করে বাইরের জগতে গিয়ে পড়লে অবসাদ, ভয় তৈরি হয়। তাই ভবিষ্যতের কথা ভেবে ছেলেকে অন্য ভাবে বড় করতে চান সুদীপা। আর অন্য মায়েদের জন্যও তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, সন্তানকে ছোট থেকেই বাইরের জগৎকে চেনানোর।