বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এক দশক আগে সারদা কেলেঙ্কারিতে সরগরম হয়ে উঠেছিল বাংলা। ২০১৩ সালে এই কাণ্ডে গ্রেফতার হন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন এবং তাঁর সহযোগী দেবযানী মুখোপাধ্যায়। এরপর দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে প্রায় ১১ বছর। ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও এখনও বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়নি। এদিকে বিনা বিচারে বন্দি থাকার অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুদীপ্ত।
দেড় বছর ধরে শুনানি বন্ধ (Calcutta High Court)!
সারদা কেলেঙ্কারিতে (Sarada Scam) নেতা, মন্ত্রী সহ বহু হেভিওয়েটের নাম জড়িয়েছিল। তাঁরা জামিন পেলেও জেলের চার দেওয়ালের মধ্যেই জীবন কাটছে সুদীপ্ত এবং তাঁর সহযোগীর। চার্জ গঠন,তদন্ত প্রক্রিয়ার অগ্রগতি সম্বন্ধে কার্যত কেউ জানেন না বলে খবর। বিচারপ্রক্রিয়া কবে শুরু হবে সেই বিষয়েও কারোর কোনও ধারণা নেই। কেউ কেউ বলছেন, সারদা কর্তা এবং তাঁর সহযোগীকে শেষ কবে আদালতে সশরীরে হাজির করানো হয়েছিল সেটা মনে নেই!
- আদালতে অন্তত হাজির করানো হোক, আর্জি জানান সুদীপ্ত
একটা সময় সারদা কর্তার হয়ে একাধিক আইনজীবী মামলা লড়েছিলেন। তবে বর্তমানে তাঁর কোনও আইনজীবী নেই বলে জানা যাচ্ছে। বিগত প্রায় দেড় বছর ধরে এই মামলার কোনও শুনানি হচ্ছে না বলে খবর। সুদীপ্তর আবেদন, সশরীরে হোক বা ভার্চুয়ালি, তাঁকে অন্তত আদালতে হাজির করানো হোক। বিনা বিচারে বন্দি থাকার অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টের (Caclutta High Court) দ্বারস্থও হয়েছিলেন তিনি। এই বিষয়ে প্রিজনার্স পিটিশন জমা দেন আদালতে।
আরও পড়ুনঃ আচমকাই ডাক্তারদের ধর্না মঞ্চে মমতা! শনিতেই হবে বৈঠক? তুঙ্গে জল্পনা
জানা যাচ্ছে, সুদীপ্তর সেই চিঠির প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চে কেন্দ্রীয় এজেন্সি জানিয়েছে, তাদের ৪টি মামলায় সারদা কর্তা জামিন পেয়েছেন। এবার আদালত সেই রিপোর্ট সুদীপ্তকে যাচাই করতে পাঠিয়েছে।
এদিকে আইনজীবীদের একটি অংশের সন্দেহ, সিবিআই শুধু নয়, সারদা কর্তা হয়তো রাজ্য পুলিশের কয়েকটি মামলাতেও অভিযুক্ত। সেই মামলাগুলির কী অবস্থা সেটাও জানা দরকার বলে মত তাঁদের। আইনজীবীদের অনেকেই মনে করছেন, এই মামলায় সর্বাধিক সাজা কী হতে পারে সেই বিষয়ে সন্দেহ আছে। তাই সেদিক থেকে দেখতে বিগত এক দশক ধরে কার্যত বিনা বিচারে জেল খাটছেন সুদীপ্ত এবং দেবযানী। এটা কতখানি সঙ্গত সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।