বাংলাহান্ট ডেস্ক : বর্তমান সময়ে অনেকেই ভুগছেন ওজন বেড়ে (Weight) যাওয়ার সমস্যায়। বাড়তি মেদ কমানোর জন্য অনেকেই মানছেন কড়া ডায়েট অনেকেই আবার ছুটছেন জিমে (GYM)। তবে এত কিছুর পরেও লাভের লাভ কিছুই হচ্ছেনা। আর তাই বাড়ছে হতাশা। তবে আর চিন্তা নেই এবার খুব সহজ উপায় শরীরে জমে থাকা বাড়তি মেদ কমিয়ে নিতে পারবেন আপনিও। কিভাবে? সেই উত্তর দেব আজকের এই প্রতিবেদনে।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে, কারি পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভেষজ গুণ। ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও এটি বিশেষ উপকারী। সাধারণত দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহৃত হয় এই পাতা। বর্তমান সময় বিভিন্ন রকম ভাজাভুজিতে পশ্চিমবঙ্গেও কারি পাতা খাওয়ার চল রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে দারুন কাজ দেয় এই পাতা। একই সঙ্গে কমিয়ে দেয় মেদ।
চোখ ভালো রাখতে ভরসা রাখুন কারি পাতায়
সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে চিবিয়ে খেয়ে নিন কারিপাতা। এতে ভালো থাকবে চোখ। আগের চাইতে অনেকটাই উজ্জ্বল হবে চোখের দৃষ্টি। আসলে কারি পাতায় রয়েছে ভিটামিন এ যা চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে।
ঝিম ধরা থেকে রক্ষা করে
রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে অনেকেরই সকালে উঠে ঝিমুনি লাগে। অনেকেরই আবার সকালে উঠেই বমি ভাব লাগে। এই সমস্যা দূর করতে ভরসা রাখুন কারি পাতাতে।
ডায়াবেটিস এবং সংক্রমিত রোগ প্রতিরোধ
বর্তমান সময় প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই কেউ না কেউ আক্রান্ত ডায়াবেটিসে। এই রোগ কমাতে বিশেষ উপকারি কারিপাতা। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এই পাতা চিবিয়ে খান। এছাড়াও যেকোনো সংক্রমিত রোগ শরীরে ছড়িয়ে পড়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে খালি পেটে খান এই পাতা।
লিভারের সমস্যা দূর করে
লিভারের সমস্যা দূর করে হজম শক্তি বাড়িয়ে তুলতে বিশেষ উপযোগী কারিপাতা। এছাড়াও যারা দীর্ঘদিন ধরে গ্যাসের সমস্যায় ভুগছেন তারাও সুস্থ থাকতে এই পাতার ওপর নির্ভর করতে পারেন।
ওজন কমাতে কার্যকরী
বর্তমান সময়ে প্রায় সকলেই ভুগছেন ওজন বাড়ার সমস্যা। মেদ ঝরাতে কারি পাতার গুরুত্ব অপরিসীম। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে চিবিয়ে খান এই পাতা এতে অল্প দিনের মধ্যেই কমে যাবে শরীরের বাড়তি মেদ। কেবলমাত্র তাই নয় এই পাতা কোলেস্টেরল, ব্লাড সুগার জাতীয় সমস্যা থেকে রেহাই দিতেও সাহায্য করে।