বাংলা হান্ট ডেস্ক : গতকাল একটি সভায় সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) স্ত্রী মিলি চক্রবর্তী কীভাবে চাকরি পেয়েছিলেন তা তৃণমূল (TMC) সামনে আনবে। বৃহস্পতিবারের চাকরির জয়েনিং লেটার প্রকাশ করে তৃণমূল শিবির দাবি করে, সুজনের স্ত্রী পরীক্ষা ছাড়াই কলেজের চাকরিতে ঢুকেছিলেন। ১৯৮৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত চাকরি করেছেন। শেষ পর্যন্ত তাঁর বেসিক বেতন ছিল মাসিক ৫৫ হাজার টাকা। এখন পেনশন ভোগ করছেন।
এর পাল্টা জবাবও দেন সুজন চক্রবর্তী। সিপিএমের এই কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বলেন, ‘বুঝতে পেরেছি ওদের বড্ড লেগেছে। কিন্তু আমি বুঝলাম না এই চিঠি দিয়ে ওরা কী বোঝাতে চাইল, আমার স্ত্রী তো চাকরি করতেন। নিয়মের মধ্যেই পেনশন পান। এটা তো জয়েনিং লেটার। কোনও সুপারিশপত্র তো নয়। তৃণমূল একটু হোমওয়ার্ক করুক।’
সুজন আরও বলেন, ‘আমার স্ত্রী যে পদে চাকরি শুরু করেন, সেই পদেই অবসর নেন। প্রভাবই যদি খাটানোর হতো তাহলে তো তাঁর পদোন্নতিও হতো।’ ১৯৮৭ সালের ১ অগস্ট গড়িয়ার দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে ক্লার্কের চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন মিলি। তিনি প্রয়াত শান্তিময় ভট্টাচার্যের মেয়ে। শান্তিময়বাবু দীর্ঘদিন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা সিপিএমের সম্পাদক ছিলেন। তৃণমূলের দাবি, বাবা ও স্বামীর সুপারিশেই পরীক্ষা না দিয়ে কলেজের চাকরিতে নিয়োগ পেয়েছিলেন মিলিদেবী।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার কালীঘাটের বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, বাম আমলে স্কুলে-কলেজে যাঁরা চাকরিতে ঢুকেছিলেন সেসব চিরকুট খুঁজে বের করতে। এদিন দেখা গেল সুজনের স্ত্রীর জয়েনিং লেটার টুইট করল তৃণমূল।
শাসকদলের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানাতে দেখা যায় সুজনকে। বলেন, ‘রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর চাকরিটাও হয়েছিল বাম আমলে। সেটাও জেনো শ্বেতপত্রে থাকে।’ শাসকদলের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে তিনি আরও বলেন, “আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলছি প্রকাশ করুন। পুরোটা প্রকাশ করুন। এই তালিকায় প্রকাশ এলে মানুষ বুঝতে পারবে বাম আমলে চাকরির নামে আসলে কতটা স্বচ্ছতা ছিল।’