বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় ধুন্ধুমার দশা রাজ্যে। কিছুদিন আগেই শিক্ষায় কেলেঙ্কারিতে সিবিআইয়ের হাতে ধৃত তাপস মণ্ডলের (Tapas Mondal) মুখে উঠে এসেছিল ‘কালীঘাটের কাকু’ প্রসঙ্গ। মানিক ঘনিষ্ট তাপসের দাবি ছিল হুগলীর তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের কাছেই তিনি জেনেছিলেন যে, কালীঘাটের এক কাকু তার ‘সব ব্যবস্থা’ করে দিচ্ছেন। এরপর খোঁজ নিয়ে দেখেন সেই কাকুর নাম সুজয় ভদ্র। তাকেই কাকু বলে ডাকতেন কুন্তল।
অন্যদিকে, এদিন জোর গলায় ‘কালীঘাটের কাকু’-র উৎস জানেন না বলে দাবি সেই করলেন সুজয় ভদ্র (Sujay Bhadra)। যাকে ‘কালীঘাটের কাকু’ বলা হচ্ছে বুধবার সেই সুজয় ভদ্র বলেন, ‘কালীঘাটের কাকু’ কথাটা কোথা থেকে এল, আমার পক্ষে তো সেটা বলা সম্ভব নয়। যারা এটা বলছেন, শুধুমাত্র তারাই এর ব্যাখ্যা দিতে পারবেন।’’
এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে সুজয় বলেন, ২০০৯ থেকে তিনি তার ‘সাহেব’ তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের অফিসে চাকরি করছেন। তার দাবি, ‘‘পৃথিবীর কারও ক্ষমতা নেই আমার সাহেবকে ছোঁবে। কারণ তার নাম কেউ করতে পারবে না। তার সঙ্গে কেউ দেখা করতে পারবে না, তার সঙ্গে কেউ ফোনে কথা বলতে পারবে না। আমার কাছ অবধি এসে থেমে যেতে হচ্ছে।’’
পাশাপাশি এদিন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তাপস মণ্ডল এবং গোপাল দলপতিকে চিনতেও অস্বীকার করেন কুন্তল। বলেন, আগে তদন্তকারী সংস্থা সঠিক ভাবে তদন্ত করুক। তিনি আরও বলেন, পূর্বে কয়লা পাচার কাণ্ডে সিবিআই তাকে সাক্ষী হিসেবে ডেকেছিল। ইডি-ও তাকে ডেকেছিল তবে তার স্ত্রী অসুস্থ থাকায় দরুন তখন তার সেখানে পৌঁছানো সম্ভব হয় নি।
সুজয় এদিন আরও দাবি করেন, নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে কোনোভাবেই তিনি জড়িত নন। আর নাই তার কাছে কেলেঙ্কারির কোনো টাকা জমা পড়েছে। অনিয়ম করে কাউকে চাকরি করিয়ে দেননি বলে সুজয় বলেন, ‘আমার ভাইঝির বয়স ৪১ বছর। এমএ, বিএড। টেট দিয়েছে। তার চাকরি হয়নি। আমার একটি মাত্র মেয়ে ‘গ্রুপ সি’র কর্মী-পদে চাকরির জন্য এসএসসি-র পরীক্ষা দিয়েছিল, তারও চাকরি হয়নি।’