বাংলা হান্ট ডেস্ক : বড়ই বিড়ম্বনা! প্রায় ১২ ঘন্টার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ! তারপর গত মঙ্গলবার চাকরি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি গ্রেফতার করে ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে (Sujay Krishna Bhadra)। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, তারপর থেকেই নাকি মুখে কিছু তুলছিলেন না ‘কাকু’। বুধবার প্রায় সারাদিন না খেয়েই কাটিয়ে দেন তিনি। যা বেশ চাপে ফেলে দেয় ইডি (Enforcement Directorate)- কর্তাদের।
কালীঘাটের ‘কাকু’র উপবাসের কথা আদালতকেও জানান তদন্তকারীরা আধিকারিকরা। বুধবার ১৪ দিনের ইডি হেফাজতে পাঠানো হয় সুজয়কৃষ্ণকে। জানা গিয়েছে, তারপরই ‘সুবুদ্ধি’ হয় তাঁর পাল্টায়। জানা যাচ্ছে, ওই দিন রাতে খাবার খেয়েছেন ‘কালীঘাটের কাকু’। এরপর কিছুটা চিন্তা কেটেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের।
সিজিও কমপ্লেক্সে মঙ্গলবার ইডির দফতরে টানা প্রায় ১২ ঘণ্টা জেরা করা হয় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। জেরা চলাকালীন ‘কাকু’ নাকি কিছুই খাননি। এমনকী তারপর দিনও কোর্টে পেশ করা পর্যন্ত কিছুই মুখে তোলেননি তিনি। দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন ধৃত সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। এই আশঙ্কা ছিল ইডি-র গোয়েন্দাদের। তাঁর মেডিক্যাল করাতেও দেরি হয়েছিল। অবশ্য এর পিছনে কালীঘাটের কাকুর বড় কৌশল ছিল বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা। তাঁদের দাবি, এভাবে অসুস্থ হয়ে গেলে তদন্ত থমকে যেতে পারে। বিভ্রান্ত হতে পারেন তদন্তকারীরা। তাই চেষ্টার কোনও ত্রুটি করেননি ‘কাকু’।
এই ঘটনার কথা বুধবার আদালতে জানান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। শেষ পর্যন্ত ইডি হেফাজতে পাঠানো হয় তাঁকে। এরপরই খাওয়া শুরু করেন সুজয়কৃষ্ণ। বুধবার রাতেই খেয়েছেন তিনি। ফলে স্বস্তিতে রয়েছেন ইডি-র গোয়েন্দাদের। তাঁর অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম। তাই জেরাতেও আর বাধা রইল না।
এদিকে রিমান্ড লেটারে আদালতে ইডি-র দাবি, চাকরি-বিক্রির বৈঠক হত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসেই। নিজের কাজ করানোর জন্য সেখানে তৎকালীন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর কাছে আসতেন কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।
ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, শুধু মানিকের মোবাইল ফোনের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট হিস্ট্রি নয়, মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে জেরা করে সুজয়কৃষ্ণ সম্পর্কে প্রচুর তথ্য মিলেছে। ইডি-র দাবি,জেরায় তাপস মণ্ডল জানিয়েছেন, ২০১৪র টেটের জন্য ৩২৫ জন চাকরিপ্রার্থীর তালিকা সুজয় ভদ্রর হাত দিয়ে মানিকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল।
Made in India