খরচ ২৫ কোটি, একদম ভোল বদলে যাচ্ছে বালুরঘাট স্টেশনের! উত্তরবঙ্গকে বড় উপহার রেলের

বাংলা হান্ট ডেস্ক : লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election) আগে বদলাতে চলেছে দেশের একাধিক রেল (Indian Railways) স্টেশনের খোলনলচে। গত সোমবারই ‘অমৃত ভারত’ (Amrit Bharat) প্রকল্পের শিল্যান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। যার মধ্যে বাংলারও নাম রয়েছে। ব্যান্ডেল, চন্দননগর, ডানকুনি, নৈহাটি, গেদে, বনগাঁ, বালুরঘাট-সহ রাজ্যের মোট ১৭টি রেল স্টেশনের আমূল পরিবর্তন ঘটানো হবে বলে খবর।

যার মধ্যে প্রায় ২৫ কোটি টাকা খরচ হবে বালুরঘাট স্টেশনের (Balurghat Rail Station) পেছনে। সম্পূর্ণ আধুনিকতার মোড়কে মুড়ে ফেলা হবে এই রেল স্টেশনকে। এবার থেকে বালুরঘাট স্টেশনে একাধিক উন্নতমানের সুবিধা পাবেন যাত্রীরা। রেল সূত্রে খবর, ‘অমৃত ভারত’ প্রকল্পের আওতায় দেশের একাধিক স্টেশনকে সিটি সেন্টারের ধাঁচে গড়ে তোলা হবে। ফুড কোর্ট থেকে শুরু করে শিশুদের খেলার মতো জায়গা-সহ বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা পাবেন যাত্রীরা।

সূত্রের খবর, স্টেশনে ঢোকা ও বেরনোর জন্য থাকবে আলাদা আলাদা ব্যবস্থা, মাল্টি লেভেল পার্কিং, লিফ্ট, এক্সালেটর, ট্রাভেলেটর, ওয়েটিং এরিয়া। এছাড়াও প্রবীণ নাগরিকদের সুবিধার্থে বেশকিছু আলাদা ব্যবস্থা রাখার পরিকল্পনা করছে ভারতীয় রেল। রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হল, ঐ স্টেশনকে ওই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক প্রগতির কেন্দ্রস্থল হিসেবে গড়ে তোলা।

আর এই তালিকায় রয়েছে সুকান্তর গড় বালুরঘাটও। এই স্টেশনের পেছনে মোট ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে বলে খবর। এদিন স্টেশনের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। এইদিন প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘চলতি বছর লোকসভা ভোটে তিনি ফের নির্বাচিত হলে আরও সুযোগ-সুবিধা রেলের মাধ্যমে জেলাবাসী পাবে।’

untitled (3)

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রথমে যখন ‘অমৃত ভারত’ প্রকল্পের উদ্বোধন হয় তখন বালুরঘাট স্টেশন এই তালিকায় ছিলনা। পরে বালুরঘাটকে এই প্রকল্পের আওতায় আনার জন্য কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীর দরবারে চিঠি পাঠিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। বালুরঘাট সাংসদের চিঠিতে কাজও হয় তড়িঘড়ি। সুকান্তর আবেদনকে মান্যতা দেয় রেল মন্ত্রক। এবং ‘অমৃত ভারত’ প্রকল্পের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় বালুরঘাটের নাম।


Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর