বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উনিশের পর এবারও বাংলায় গেরুয়া ঝড় ওঠার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। তবে মঙ্গলে EVM খুলতেই শুরু হয় সবুজ ঝড়। ঘাসফুলের দাপটে রীতিমতো কোণঠাসা হয়ে পড়ে পদ্ম। টার্গেটের কাছাকাছি পৌঁছনো তো দূর, তার অর্ধেক আসনেও জিততে পারেনি গেরুয়া শিবির। মাত্র ১২টি আসনেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে BJP-কে। কীভাবে সম্ভব এই ফলাফল? এবার মুখ খুললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।
ভোটের আবহে খোদ নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) BJP-র ‘বেস্ট পারফর্মিং স্টেট’ হতে চলেছে। ৩০ আসনের টার্গেটও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তবে সর্বসাকুল্যে মাত্র ১২টি আসনে জিততে পেরেছে গেরুয়া শিবির। দিলীপ ঘোষ, নিশীথ প্রামাণিকের মতো তাবড় তাবড় নেতারা এবার জয় বের করতে পারেনি। আসন সংখ্যা বাড়ানো তো দূর, গতবারের চেয়ে ৬টি আসন কম পেয়েছে BJP। এবার একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে এই নিয়ে মুখ খুললেন সুকান্ত।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘দলের মধ্যে অবশ্যই আলোচনা করব। রাজ্য সভাপতি হিসেবে দায়টা তো আমারই। আমি সব সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। তবে দায় আমাকেই নিতে হবে। আমি পিছপা হব না। সিদ্ধান্ত হয়তো অন্য কেউ দেবে। কিন্তু দায় আমাকেই নিতে হবে’। সাক্ষাৎকারে কারোর নাম না নিলেও ‘অন্য কেউ’ বলতে সুকান্ত ঠিক কাকে বুঝিয়েছেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।
আরও পড়ুনঃ ঐতিহাসিক! তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সাথেই মোদী ছুঁয়ে ফেলবেন নেহেরুর এই রেকর্ড
এই সাক্ষাৎকারে দিলীপ-নিশীথের পরাজয় নিয়েও কথা বলেন সুকান্ত। বালুরঘাটের জয়ী প্রার্থী বলেন, ‘দিলীপদার জয় নিয়ে আমি বিশ্বাসী ছিলাম। উনি আমাদের প্রত্যেকের নেতা। আমরা সবাই ওনাকে সম্মান করি। ওনার আসন পরিবর্তনের জন্যই হয়তো উনি হেরে গেলেন’। অন্যদিকে কোচবিহারে নিশীথের পরাজয় নিয়ে বলেন, ‘এটা আমার কাছে অপ্রত্যাশিত। ভেবেছিলাম সিটটা ঠিক বের করে নেবে। কোনও কারণবশত হয়তো হয়নি। পরের বার ঠিক জিতবে’।
উনিশের লোকসভা ভোটে রাজ্যজুড়ে যখন গেরুয়া ঝড় উঠেছিল, তখন গেরুয়া শিবিরের রাজ্য সভাপতি ছিলেন দিলীপ ঘোষ। বাংলায় BJP-র এই চমকপ্রদ উত্থানের কারিগর হিসেবে আজও অনেকেই ওনাকে শ্রেয় দেন। একুশের ভোটেও দিলীপের নেতৃত্বেই বাংলার প্রধান বিরোধী দল হিসেবে BJP-র উত্থান হয়। তবে পরবর্তীতে তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে সুকান্তকে বেছে নেয় দল।
চব্বিশের লোকসভা ভোটে রাজ্য BJP-র মুখ হিসেবে দেখা গিয়েছে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। দলের অন্দরে কান পাতলে শোনা যায়, এবারের ভোটে কোন কেন্দ্র থেকে কে দাঁড়াবেন তা ঠিক করেছিলেন শুভেন্দুই। দিলীপকে তাঁর ‘গড়’ মেদিনীপুর থেকে বের করে দাঁড় করানো হয় বর্ধমান দুর্গাপুর থেকে। তবে এতকিছুর পরেও ১২টি আসন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে BJP-কে।
‘বিজেপির মেদ হয়েছে…’ বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দুকে নিয়েও বড় মন্তব্য প্রবীণ নেতার