বাংলাহান্ট ডেস্ক : তৃণমূলের গণসংগঠনের সদস্য খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এহেন চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসতেই কার্যতই তুঙ্গে উঠেছে শোরগোল। সম্প্রতি সামনে এসেছে চোখ কপালে তুলে দেওয়ার মতই এক তথ্য। তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক সমিতির সদস্য তালিকায় রয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নাম।
এই তথ্য সামনে এনেছেন খোদ ওই সংগঠনের রাজ্য সভাপতি। অধ্যাপক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি অধ্যাপক কৃষ্ণকলি বসুই সংবাদমাধ্যমের সামনে পেশ করেছেন সুকান্ত মজুমদারের সদস্যপদের প্রামাণ্য নথি। একই সঙ্গে তিনি জানান, ‘ ২০১৩ সাল থেকে সুকান্ত মজুমদার আমাদের সংগঠনের সদস্য। তিনি আমাদের সংগঠনে আসার জন্য লিখিত আবেদন করেছিলেন। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের আহ্বায়কের সুপারিশে তাঁর সদস্যপদ মঞ্জুর করি। পরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি হলেও এখনও তিনি ইস্তফা দিয়েছেন এমন কোনও তথ্য প্রমাণ আমাদের কাছে নেই।’
রাজনৈতিক জীবনে সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি হলেও পেশাগত জীবনে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যার অধ্যাপক সুকান্ত মজুমদার। ২০১৯ সালে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে প্রথমে সাংসদ এরপর ২০২১ সালে দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি। বঙ্গ বিজেপির মুখ দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বরাবরই দূরত্ব দেখা গেছে তাঁর। এমনকি বেশ কিছু বিজেপি নেতার অভিযোগ এককালে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধেও প্রচার করেছেন সুকান্তবাবু।
কিন্তু তাবলে তৃণমূলের সংগঠনের সদস্যপদ? ওয়েবকুপার সভাপতি অধ্যাপক বসু আরও জানিয়েছেন, প্রতিমাসেই ওই সংগঠনকে চাঁদা দিতেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এমনকি গৌড়বঙ্গে সংগঠনের যে ইউনিট হয় তার প্রতিষ্ঠাতা সদস্যও ছিলেন সুকান্ত মজুমদার। বলাই বাহুল্য, খোদ রাজ্য সভাপতির বিরোধী শিবিরের সদস্যপদের খবর মোটেই ছিল না বিজেপির কাছে। যা জানার পর রীতিমতো আকাশ থেকেই পড়েছেন গেরুয়া শিবিরের নেতা নেত্রীরা।
সম্প্রতি দলের কিছু নেতার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে সুকান্ত মজুমদারকে। একাধিক ইস্যুতে বিদ্রোহী হয়ে উঠছেন তিনি। এরই মধ্যে সামনে এলো রাজ্য সভাপতি হয়েও বিরোধী শিবিরে সক্রিয়তার খবর। তবে কি তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন সুকান্ত মজুমদার নাকি পুরোটাই অন্তর্ঘাত বারবার জোরালো হয়ে উঠছে এই প্রশ্ন। যদিও এই ব্যাপারে কোনও রকম প্রতিক্রিয়াই দেননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি।