বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হাতে আর কিছু ঘণ্টা। আগামীকালই ডিএ (Dearness Allowance) নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া সময়সীমা শেষ হচ্ছে। ২৭ জুনের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ-র ২৫% মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি রাজ্য সরকার। আদৌ ডিএ মিলবে তো? আশঙ্কায় সরকারি কর্মীরা। এরই মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।
ডিএ ইস্যুতে সুকান্ত | Dearness Allowance
বৃহস্পতিবার সল্টলেকের রাজ্য বিজেপি দপ্তরে বঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেন সুকান্ত মজুমদার। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ডিএ ইস্যুতে বিজেপি সাংসদ বলেন, “মুখ্য সচিব ও মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে কে জেলে যাবেন ওনারা ঠিক করে নিন। আদালত অবমাননার জন্য একজনের জেলে যাওয়া উচিত।”
সুকান্তর কথায়, “উনি বুঝে গিয়েছেন, সে কয়েকহাজার শিক্ষককে মাইনে দেওয়ার থেকে যদি কোনও ভাতা পাতা করে দেওয়া হয় ভোটের সুবিধা হবে। সেই লক্ষ্যেই উনি এসব করছেন।” উল্লেখ্য, গত ১৬ মে দেশের ডিএ সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ রাজ্য সরকারকে মিটিয়ে দিতে হবে।
পাশাপাশি ১৫ জুনের মধ্যে রাজ্য সরকারকে এই সংক্রান্ত কাজকর্মের রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য কোনও রিপোর্ট জমা করেনি। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নেয় সেই নিয়ে শঙ্কায় সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীরা।
আরও পড়ুন: বিয়ের আগেই রিঙ্কুর জীবনে বড় চমক! পেলেন সরকারি চাকরি, কোন ডিপার্টমেন্টে করবেন যোগদান?
ডিএ মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিল রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মোট বকেয়া ডিএ–র পরিমাণ সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। তার ২৫ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা চলতি মাসে মিটিয়ে দিতে হবে রাজ্যকে। শোনা গিয়েছিল বকেয়া ডিএ মেটাতে বিপুল অঙ্কের ঋণ নিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে রাজ্য এখনও পর্যন্ত ডিএ বিষয়ক কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি। এদিকে ইতিমধ্যেই সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন হুঁশিয়ারি দিয়েছে সময় মত ডিএ না মিললে খুব শীঘ্রই আদালত অবমাননার মামলা করবেন তারা।