বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত কিছুদিন ধরে উত্তপ্ত রয়েছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়ার পরও এলাকার ১৯টি জায়গায় জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। মূলত সন্দেশখালির প্রবেশপথ গুলিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে রাজ্য পুলিশ। যা নিয়ে ক্রমশ্য প্রতিবাদ চলেছে বিরোধীরা। আর এই আবহেই এবার সন্দেশখালি যাচ্ছেন সুকান্তেরা (Sukanta Majumdar)। সেখানে সরস্বতী পুজোর উদ্যোগ নিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জাতি থাকার কারণে গেরুয়া সাংসদের পূর্ব পরিকল্পনা ছিল টাকির হোটেলে সরস্বতী পুজো করা হবে। তবে শেষ মুহূর্তে সেই পরিকল্পনায় বদল এনে জানানো হয় সন্দেশখালিতেই হবে সরস্বতী পুজো। হোটেল থেকে প্রতিমা নিয়ে সন্দেশখালির পথে রওনা দেবেন সুকান্ত মজুমদার। তবে সেই পথে বর্তমানে প্রবেশ করা সোজা নয়! সন্দেশখালির নির্দিষ্ট ১৯টি জায়গায় জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। তাই সুকান্তর সন্দেশখালি যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ প্রশাসন।
ওদিকে বিজেপি সূত্রে খবর, যতই বাধা দেওয়া হোক না কেন আজ সন্দেশখালিতেই যাবেন সুকান্তরা। পদ্ম শিবিরের রাজ্য সভাপতি জানিয়ে দিয়েছেন, সরস্বতী প্রতিমা সঙ্গে করেই তিনি সন্দেশখালি রওনা দেবেন তিনি। যদিও পুলিশ পথে ১৪৪ ধারার জন্য আটকায় তাহলে যেখানে আটনো হবে, সেখানেই সরস্বতী পুজো করবেন তারা।
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের আগে সন্দেশখালি ইস্যুকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমেছে বিজেপি। গতকাল মঙ্গলবার সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে বসিরহাট পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকায় প্রথমে উত্তর ২৪ পরগনার হৃদয়পুর স্টেশন থেকে হাসনাবাদ লোকালে করে বসিরহাটে পৌঁছে যান সুকান্ত। সেখান থেকে এসপি অফিসের কাছাকাছি পৌঁছতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। সুকান্তদের বাধা দিতে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। পাল্টা পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে বিজেপি বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতিতে তোলপাড়! ED-র হাতে গ্রেফতার বিশ্বজিৎ, এর আসল পরিচয় জানলে মাথা ঘুরে যাবে
ঘটনার জেরে দু’পক্ষেরই বেশ কয়েক জন জখম হন। এর পর সুকান্ত সহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। যদিও মধ্যরাতেই সুকান্তকে বন্ডে সই করিয়ে ছেড়ে পুলিশ। রাতেই সুকান্তকে নিয়ে যাওয়া হয় টাকির একটি হোটেলে। বুধবার সেই হোটেলেই সরস্বতী পুজো করার কথা ছিল তাদের। তবে আচমকাই সেই পরিকল্পনায় বদল।
সরস্বতী পুজোর দিনে সন্দেশখালির মা-বোনেদের কাছেই যাওয়ার সিদ্ধান্ত সুকান্তদের। সূত্রের খবর, সরস্বতী প্রতিমা, পুরোহিত সঙ্গে করেই তারা সন্দেশখালির পথে রওনা হবেন। পুলিশি বাধা কাটিয়ে যদিও কোনও মতে সন্দেশখালি পৌঁছে যেতে পারেন তাহলে সেখানকার মানুষদের সঙ্গে নিয়েই বাগদেবীর আরাধনায় বসবেন সুকান্তরা।