বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ লক্ষ্মীপুজো। গোটা বাংলা জুড়ে মা লক্ষ্মীর আরাধনা করে চলেছেন প্রতিটি মানুষ। যদিও এই দিনেও বাদ গেল না রাজনৈতিক বিতর্ক। একের পর এক ইস্যুতে তৃণমূল (Trinamool Congress) বনাম বিজেপি (Bharatiya Janata Party) দ্বন্দ্ব আর এর মাঝেই এবার শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বাড়িতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) পৌঁছে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৈরি হল রাজনৈতিক জল্পনা। যদিও এটিকে নিছক সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা।
সাম্প্রতিক সময়ে বিজেপির সংগঠন এক প্রকার তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। একের পর এক নেতারা যখন দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করে চলেছেন, আবার অপরদিকে পদ্মফুল শিবিরের অন্দরে দ্বন্দ্ব অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে দলের প্রধান দুই স্তম্ভ হলেন শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদার। বিভিন্ন সময় শাসক দলের বিরুদ্ধে সামনের সারিতে থেকে আক্রমণ শানাতে দেখা যায় এই দুই শীর্ষ নেতাকে।
উল্লেখ্য, এদিন লক্ষ্মীপূজো উপলক্ষ্যে কাঁথির অধিকারী বাড়িতে (শান্তিকুঞ্জ) বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের পৌঁছে যাওয়াকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে সৃষ্টি হয়েছে বিস্তর জল্পনার। কি কারণে এই সাক্ষাৎ, তা নিয়ে একাধিক মহল থেকে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, এদিন সুকান্ত মজুমদারকে স্বাগত জানানোর জন্য উপস্থিত হন স্বয়ং শুভেন্দু অধিকারী। ফুলের স্তবক দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। যদিও এটিকে নিছক সৌজন্য সাক্ষাৎ বলেই আখ্যা দিয়েছেন তিনি। এক্ষেত্রে অবশ্য সকাল থেকেই ক্রমাগত খবর আসতে থাকে যে, লক্ষীপুজো উপলক্ষ্যে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে পৌঁছে যাবেন সুকান্তবাবু অবশেষে হলো তাই! একইসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে স্বাগত জানাতে কোন চেষ্টারই খামতি রাখেনি অধিকারী পরিবার। পরবর্তীতে কোলাকুলি করতেও দেখা যায় তাদের।
এক্ষেত্রে অবশ্য অন্য একটি জল্পনার কথা ক্রমাগত সামনে এসে চলেছে এবং তা হলো শিশির-প্রসঙ্গ। গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন শুভেন্দু অধিকারী। পরবর্তীতে বিজেপির যোগদান মঞ্চ থেকে শুরু করে অন্যান্য একাধিক স্থানে শিশির অধিকারীকে দেখা গেলেও দলত্যাগ করেননি তিনি। খাতায়-কলমে এখন-ও তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শিশিরবাবু, অথচ একাধিক সময় দলীয় সিদ্ধান্তে কর্ণপাত করেন না তিনি। সম্প্রতি লোকসভার স্পিকারের কাছে তাঁর সাংসদ পদ খারিজের আবেদন পর্যন্ত করে তৃণমূল কংগ্রেস এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এদিন অধিকারী বাড়িতে সুকান্ত মজুমদারের পৌঁছে যাওয়াকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।