বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি, সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। গরু পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চলেছে গোয়েন্দা সংস্থা। একই সঙ্গে এই মামলায় অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের যোগ রয়েছে বলেও অনুমান তাদের আর এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেও জড়িয়ে পড়ল অনুব্রত কন্যার নাম। প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় পাস না করেও শিক্ষকতার চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে সুকন্যার বিরুদ্ধে। এদিন এ মামলায় সুকন্যা সহ মোট ছয় জনকে তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। একে গরু পাচার মামলা আর এবার নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানোয় অনুব্রত কন্যার অস্বস্তি বহু গুণে বৃদ্ধি পেল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। আবার অপরদিকে, এ প্রসঙ্গে বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর দাবি, “আমি কিছু বলতে পারব না।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। গরু পাচারের সঙ্গে তৃণমূল নেতার সরাসরি যোগ রয়েছে বলে অনুমান তাদের। এক্ষেত্রে অনুব্রতর পাশাপাশি তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের নামে একাধিক জমি সহ বহু কোম্পানির খোঁজ মিলেছে, যেখানে কোটি কোটি টাকা আদান-প্রদান হত বলে দাবি সিবিআইয়ের। সেই মামলার তদন্তের স্বার্থে এদিন সুকন্যাকে জেরা করতে যায় তদন্তকারী অফিসাররা। তবে সূত্রের খবর, এদিন এক প্রকার খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে তাদের। আর এবার নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিতেও জড়ালে অনুব্রত কন্যার নাম। বর্তমানে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, ২০১২ সালে প্রাথমিক টেট পরীক্ষা পাস না করেও শিক্ষকতা চাকরি পেয়ে যান সুকন্যা। পরবর্তীতে স্কুলে না গিয়েই বেতন পেতেন তিনি।
এই মামলার শুনানি চলাকালীন এদিন সুকন্যা সহ মোট ছয়জনকে তলব করল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে টেট পরীক্ষায় পাস করা সকল নথি নিয়ে আগামীকাল হাজির থাকতে হবে তাদের। সমস্ত ঘটনার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে বীরভূমের এসপিকে। যদিও এই প্রসঙ্গ উঠতেই বর্তমান শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “এই নিয়োগ অনেকদিন আগে হয়েছে। আমি বলতে পারব না।”
তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে বিশেষ কোন প্রতিক্রিয়া না মিললেও এদিন তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ ছুড়ে দেন সিপিএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা অত্যন্ত স্বাভাবিক। তদন্ত যত এগিয়ে চলবে, তত সত্য বেরোতে থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী বর্তমানে ভয় পেয়েছেন, তাই উনি রাস্তায় নামার কথা বলছেন। দোষীরা শাস্তি পাবে।”