হিমাচলের নতুন মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ সুখবিন্দর সিং সুকুর, কৈশোরে দুধ বিক্রি করে চালাতেন সংসার! জানুন বিস্তারিত

বাংলাহান্ট ডেস্ক : হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন সুখবিন্দর সিং সুকু (Sukhwinder Singh Sukhu) । গতকাল এমনই ঘোষণা করেছে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস। সুকুর ডেপুটি হিসেবে থাকছেন আরেক কংগ্রেস নেতা মুকেশ অগ্নিহোত্রী। আজ রোববার স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে সুকুর শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে। প্রসঙ্গত সুকু হিমাচল কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচার কমিটির প্রধান ছিলেন।

৫৮ বছর বয়সী সুকু কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি এবং হিমাচল প্রদেশের হামিরপুর জেলার নাদাউনের বিধায়ক। চারবার বিধায়ক হওয়া সুকু কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর অত্যন্ত কাছের লোক হিসেবে পরিচিত। তিনি সিমলার হিমাচল প্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মী হিসেবে রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৮০-এর দশকের শেষ দিকে রাজ্য শাখার জাতীয় ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃত্ব দেন। এমনকি একটা সময় পরিবহন দফতরে এক সামান্য বাস ড্রাইভার হিসাবেও নিযুক্ত ছিলেন। এমনকি নিজের পরিবারকে সাহায্য করতে ছোটো সিমলায় দুধও বিক্রি করেছন।

মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের সংবাদ পাওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় সুখবিন্দর সিং সুকু সাংবাদিকদের বলেন, ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী মুকেশ অগ্নিহোত্রী ও আমি একসঙ্গে কাজ করব। ১৭ বছর বয়সে আমি আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করি। কংগ্রেস আমার জন্য যা করেছে, তা আমি কখনো ভুলতে পারব না।

এর আগে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রয়াত বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা বীরভদ্র সিংয়ের স্ত্রী ও হিমাচল কংগ্রেসপ্রধান প্রতিভা সিং ও মুকেশ অগ্নিহোত্রীর নাম শোনা যাচ্ছিল। তবে দলের পক্ষে সুকুকে নিয়োগের পর প্রতিভা সিং সাংবাদিকদের বলেছেন, কংগ্রেস হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিয়েছি। যদিও সুকুর সঙ্গে হিমাচলের ছয়বারের মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত বীরভদ্র সিংয়ের সম্পর্ক তেমন ভালো ছিল না। বীরভদ্র চলতি বছরের জুলাইয়ে মারা যান।

এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর পদ পেতে প্রতিভা সিং দিল্লির নেতাদের উদ্দেশে বলেছিলেন, বীরভদ্র সিংয়ের নাম নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়ে তার পরিবারকে একপাশে সরিয়ে রাখা ‘বিপর্যকর’ হবে। তবে একটি সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, প্রতিভা দলের নতুন নির্বাচিত ৪০ বিধায়কের কাছে ততটা জনপ্রিয় নন। আর তাই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর হওয়ার দৌড় থেকে বাদ পড়ে যান।

সুখবিন্দর সিং সুখু হিমাচল প্রদেশের নাদাউন বিধানসভা কেন্দ্রের চারবারের বিধায়ক। ২০১৩ এবং ২০১৯ পর্যন্ত তিনি ছিলেন হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি পদ সামলেছেন। এদিন সুখবিন্দর বলেন, ‘আমি সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধী, প্রিয়ঙ্কা গাঁধী এবং রাজ্যবাসীর কাছে চির কৃতজ্ঞ। আমাদের সরকার পরিবর্তন আনবেই। হিমাচল প্রদেশের মানুষকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তা পূরণ করবই। আমরা রাজ্যের উন্নতির স্বার্থে কাজ করব।’


Sudipto

সম্পর্কিত খবর