বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবার সুকন্যা মণ্ডলের (Suknya Mandal) নামে জমির খোঁজ মিলল বীরভূমে। মঙ্গলবার বোলপুরের (Bolpur) জমি রেজিস্ট্রির অফিসে যান সিবিআই (CBI) আধিকারিকেরা। সেখানে তল্লাশি করে সুকন্যার নামে জমির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করছে সিবিআই।
মঙ্গলবার বোলপুরের জমি রেজিস্ট্রি অফিসে যান সিবিআই আধিকারিকরা। গোয়েন্দা সূত্রে জানা যাচ্ছে, অনুব্রত এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের নামে ঠিক কত জমি রয়েছে, তা জানতেই এই তল্লাশি শুরু হয়েছে। সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, বোলপুরের বল্লভপুর এলাকায় ০.৬২ একর জমির সন্ধান মিলেছে সুকন্যা মণ্ডলের নামে। সিবিআই আধিকারিকরা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
এরই সঙ্গে অনুব্রত-ঘনিষ্ঠদের নামেও কী পরিমাণে স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে তার খোঁজও চলছে বলে জানিয়েছে সিবিআই। বীরভূম ডিস্ট্রিক্ট সাব রেজিস্ট্রি অফিসের হেড ক্লার্ক সামসের আলি জানান, ২০০৮ সালের পর থেকে বিদ্যুৎবরণ গায়েনের নামে কোনও জমি কেনা হয়েছে কি না, তাও খোঁজ নিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। দলিল সংক্রান্ত তথ্য এবং কোনও সম্পত্তি লিজ নেওয়া হয়েছে কি না সে সম্পর্কেও তথ্য জোগাড় করা হচ্ছে। অনুব্রতর ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত এই বিদ্যুৎবরণ। রবিবার বোলপুরের কালিকাপুরের বাসিন্দা বিদ্যুৎবরণের বাড়িতে তল্লাশি চালান সিবিআই আধিকারিকরা। বোলপুর পুরসভার স্থায়ী গ্রুপ ডি কর্মী হিসাবে তিনি কর্মরত।
অনুব্রতের দেহরক্ষী সহগল হোসেনের নামেও কোনও জমি আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সহগল হোসেন এখন রয়েছে সিবিআই হেফাজতে। পাশাপাশি বীরভূমের একাধিক চালকলের লিজের কাগজপত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিবিআই সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সহগল হোসেনের ‘ঘনিষ্ঠ’ মাধব কৈবর্ত্যের নামেও কোন জমিজমা আছে কি না সে সম্পর্কেও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত,কিছু দিন আগেই গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন এই মাধব। যা পরিস্থিতি, তাতে অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ সকলই সিবিআই-এর সন্দেহের তালিকায় রয়েছে বলেই অনুমান করছে ওয়াকিবহাল মহল।