বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোট পূর্বে রাজ্যে চলছে দলবদলের হিড়িক। সেই তালিকায় নাম লিখিয়েই রবিবার পদ্ম ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেস যোগদান করেন আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) সুমন কাঞ্জিলাল (Suman Kanjilal)। সেই নিয়ে জোর চৰ্চা চলছিল রাজনৈতিক মহলে। তবে এবার সমস্ত কল্পনা- জল্পনার অবসান। সেই সুমনকেই নয়া পদে বসাল স্বাস্থ্য ভবন।
প্রসঙ্গত, রবিবার ক্যামাক স্ট্রিটে গিয়ে তৃণমূল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) হাত ধরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন সুমনবাবু। তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ডো অভিষেকই সুমনের গলায় উত্তরীয় পরিয়ে দিয়েছিলেন।
তবে তার পরদিনই সুমনবাবুর কথায় ধরা দেয় অসঙ্গতি। তিনি জানান, দলবদল নয় বরং আলিপুরদুয়ারের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে গিয়েছিলেন তিনি।
বিজেপি বিধায়ক বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গে এসে মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার কথা শুনে নেতাকে আন্তরিক মনে হয়েছিল। শুধুমাত্র সেজন্যই তার সঙ্গে দেখা করে অসুবিধার কথা জানিয়েছি । তৃণমূল সাংসদ আমাকে সব ধরনের সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। আমার ক্যামাক স্ট্রিটে সাক্ষাতে যাওয়া রাজনৈতিক সৌজন্য ছাড়া কিছু নয়।” এরপরই সুমনের অবস্থান নিয়ে ধন্দ পরে যায় রাজনীতির অন্দরে। শুরু হয় বিতর্ক।
তবে এদিন বিতর্ক কাটিয়ে সমস্তটা পরিষ্কার হল। আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের (Alipurduar Hospital ) রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান (Chairman) করা হল সুমনবাবুকে। এই পদে আসীন ছিলেন তৃণমূল নেতা সৌরভ চক্রবর্তী। উল্লেখ্য, একুশের ভোটে তৃণমূলের সৌরভকে হারিয়েই বিজেপি বিধায়কের পদ পেয়েছিলেন তিনি।
অভিষেকের অফিস থেকে ফেরার পর সুমন বলেছিলেন, মানুষের জন্য কাজ করতে চান কিন্তু পারছেন না। এবার তার সেই কথা রেখে সুমনবাবুকে জনকল্যাণের দায়িত্ব দিল স্বাস্থ্য ভবন। পাশাপাশি একেবারে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে আলিপুরদুয়ার জেলার রাজনীতিতে সুমনের এই দলবদল যে খুব বড় একটা প্রভাব ফেলবে এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।