শিক্ষকদের বিভ্রান্তি দূর! গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিল স্কুল শিক্ষা দফতর

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চরমে পৌঁছেছে তাপমাত্রা। জুনের শুরু থেকেই এই অবস্থা। গরমের ছুটি (Summer vacation) শেষ হয়ে রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুল (School Timing) একবার খুললেও ফের তা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গরমের দাপট থেকে পড়ুয়াদের বাঁচাতে বন্ধ থাকবে স্কুলগুলি। কিন্তু শিক্ষক-শিক্ষিকারা (Teachers) কতক্ষণ স্কুলে থাকবেন? রাজ্যের নির্দেশিকায় সেই নয় কোনও উল্লেখ না থাকায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছিল। এবারে তা দূর হলে।

ছুটিতেও শিক্ষকদের যেতে হবে স্কুলে? Summer vacation

স্কুল শিক্ষা দফতর জানাল শিক্ষকদের ছুটি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি এখনও। যেহেতু তাদের পঠনপাঠন ছাড়াও একাধিক প্রশাসনিক কাজ দেখতে হয় তাই সেই কথা মাথায় রাখা হয়েছে। তাদের ছুটি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি রাজ্য। সিবিএসই এবং আইসিএসই বোর্ডের কাছে স্কুলগুলির পঠনপাঠন বন্ধ রাখার আর্জি জানিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর।

প্রসঙ্গত, তাপপ্রবাহের মধ্যে পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে ১৩ এবং ১৪ জুন, দু’দিন স্কুলের পঠনপাঠন বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে রাজ্য। শিক্ষকদের ছুটি দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে রাজ্যের তরফে কোনও স্পষ্ট নির্দেশিকা নেই। তা পেলে তবেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/QMqVPtvLFkA?si=LqACjFKJlCzMChlS

উল্লেখ্য, রাজ্যের সরকার পোষিত এবং ভারপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে ৩০ এপ্রিল থেকে গরমের ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। ৩১ মে পর্যন্ত গরমের ছুটি ছিল। এরপর ২ জুন থেকে রাজ্যের সরকার পোষিত এবং ভারপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে ফের পঠন পাঠন শুরু হয়ে যায়। তবে গরমের ছুটি শেষ হলেও গরম কমেনি। উল্টে গত কয়েক দিনে তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে। এর মধ্যে পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে ফের দুদিনের জন্য ছুটি দেওয়া হল।

আরও পড়ুন: ফুঁসছে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত! সকাল থেকেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে, ৮ জেলায় জারি সতর্কতা

গত বছর সরকারি স্কুলগুলিতে প্রথমে ৯ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত গরমের ছুটি ছিল। তবে অত্যাধিক গরমের কারণে ২১ এপ্রিল থেকে ছুটির ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় দু’মাস ২ জুন পর্যন্ত ছিল গরমের ছুটি। যা নিয়ে পরে সিলেবাস শেষ করতে বেগ পেতে হয়েছিল শিক্ষকদের। এবার সেই কারণে সব দিক ভাবনা-চিন্তা করে তবেই ছুটি দেওয়া হচ্ছে।

Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।