বাংলাহান্ট– মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কৃষ্ণনগরের একটি সুইমিং পুলে সাঁতার শিখতে গিয়ে অকাল মৃত্যু ঘটলো এক গৃহবধূর। পুলিশ জানায়, তার নাম অনন্যা দাশ মন্ডল । বাড়ি নবদ্বীপ পৌরসভার তমালতলা এলাকায়। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই কৃষ্ণনগর জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দেয় ।
ঘটনাটি ঘটে সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ কৃষ্ণনগর স্টেডিয়াম লাগোয়া অফিসার্স ক্লাব সুইমিং পুলে। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানতে পারা যায়, মৃত অনন্যা দাস মন্ডল এর বাপের বাড়ি কৃষ্ণনগর পৌরসভার সেগুন বাগান এলাকায়।
ডাক বিভাগের কর্মী হওয়ায় কর্মসূত্রে প্রতিদিন নবদ্বীপ থেকে কৃষ্ণনগরে আসতেন তিনি। তার স্বামী সব্যসাচী মন্ডল শুল্ক বিভাগের কর্মী। কর্মস্থল ও বাপের বাড়ি কৃষ্ণনগর হাওয়ায় ওই সুইমিং পুলে সাঁতার শিখতে যেতেন অনন্যা দেবী। জানা যায়, অন্যান্য দিনের মতো আজও অফিস শেষ করে সাঁতার শিখতে ওই সুইমিং পুলে গিয়েছিলেন তিনি। সূত্রের খবর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুইমিং পুলের জলে নামার কিছু পরেই জলে ডুবে যান অনন্যা দেবী। তাকে উদ্ধার করে অতিরিক্তি জেলা শাসকের গাড়িতে করে এক নিরাপত্তা কর্মী শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কৃষ্ণনগরের সেগুন বাগানের বাসিন্দা , মৃত গৃহবধূর মামা শ্যামল বিস্বাস জানান, আমি আমার বোনের কাছে ভাগ্নির মৃত্যুর দুঃসংবাদটি পাই।
খবর পেয়ে দ্রুত শক্তিনগর হাসপাতালে ছুটে আসি। মৃতার মামা শ্যামল বাবু জানান, আমার ভাগ্নী মাত্র তিন মাস আগে এখানে সাঁতার শেখার জন্য ভর্তি হয়। তার প্রশ্ন, প্রশিক্ষক থাকা সত্ত্বেও কিভাবে একজন শিক্ষার্থী জলে ডুবে গেল?। প্রশ্ন সাধারণ মানুষেরও।