বাংলাহান্ট ডেস্ক: ‘দ্য কপিল শর্মা শো’ (the kapil sharma show) থেকে বাদ পড়েছেন সুমনা চক্রবর্তী (sumona chakravarti)। সম্প্রতি শোয়ের নায়ক কপিল শর্মার একটি পোস্ট থেকে এমনি গুঞ্জন শুরু হয়েছে বলিপাড়ায়। শোয়ের দীর্ঘদিনের সঙ্গী সুমনাকে ছাড়াই একটি ছবি নেটমাধ্যমে পোস্ট করেছেন কপিল, যেখানে শোয়ের প্রত্যেকে উপস্থিত থাকলেও নেই সুমনা। এরপর পরই বাঙালি অভিনেত্রীর একটি পোস্টে জল্পনা আরো বেড়েছে নেটজগতে।
সম্প্রতি শোয়ের গোটা টিমকে নিয়ে একটি ছবি শেয়ার করেন কপিল। ভ্যাকসিনেশনের পর তোলা হয়েছিল ছবিটি। ছবিতে কপিল ছাড়াও ছিলেন ভারতী সিং, কিকু সারদা, কৃষ্ণা অভিষেক, চন্দন প্রভাকর ও সুদেশ লাহিড়ি। কিন্তু সকলকে অবাক করে ছবিতে কোথাও দেখা মেলেনি সুমনার। কয়েকজন কমেন্ট বক্সেও খোঁজ করেন অভিনেত্রীর। কিন্তু মেলেনি কোনো উত্তর।
এরপরেই জল্পনা শুরু হয় কপিল শর্মা শো থেকে বাদ পড়েছেন সুমনা। সেই জল্পনার আগুনে ঘি ঢালে অভিনেত্রীর একটি পোস্ট। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শার্লট ফ্রিম্যানের লেখা বইয়ের একটি লেখা তুলে ধরেছেন সুমনা। সেখানে লেখা, ‘যতক্ষণ না তুমি কোনো জিনিসকে সুযোগ দিচ্ছ ততক্ষণ বুঝতে পারবে না সেটা তোমার জন্য উপযুক্ত কিনা। সেটা কোনো সম্পর্ক হোক বা কোনো নতুন কাজ, নতুন শহর, নতুন অভিজ্ঞতা, নিজের সবটুকু উজাড় করে দাও। যদি কাজ না করে তবে বুঝবে সেটা তোমার জন্য ছিল না আর মনে কোনো খেদ না রেখেই ফিরে আসবে। এতটাই তুমি করতে পারো। এটা সত্যিই খুব ভয়াবহ অনুভূতি যে কাজটাতে তুমি আরো অনেক কিছু করতে পারতে। তাই আগামী কাজের জন্য নিজের সবটা দিয়ে খোঁজো আর যখন সেটা পাবে তখন আর ফিরে তাকিও না।’
https://www.instagram.com/p/CRlQa5NDShf/?utm_medium=copy_link
প্রসঙ্গত, বহু বছর ধরে কপিল শর্মা শোয়ের অংশ সুমনা। কপিলের স্ত্রী ভুরির চরিত্রে অভিনয় করতেন তিনি। শোতে তাঁর অভিনয়ের ভক্ত ছিলেন অনেকেই। কয়েক মাস আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সুমনা জানিয়েছিলেন তিনি বর্তমানে কর্মহীন। উপরন্তু এন্ডোমেট্রিয়াসিস নামে জরায়ুর এক রোগও শরীরে বহন করে চলেছেন তিনি। দীর্ঘ দশ বছর ধরে এই রোগের সঙ্গে লড়াই করছেন তিনি। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের সমস্যার কথা জানিয়ে আক্ষেপ করেন সুমনা। বাড়িতে শরীরচর্চার পর একটি ছবি শেয়ার করে সেখানে একটি লম্বা বার্তা লেখেন অভিনেত্রী।
https://www.instagram.com/p/CO2oRLArOdf/?utm_medium=copy_link
সুমনা লেখেন, ‘২০১১ থেকে আমি এন্ডেমেট্রিয়াসিসের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। অনেক বছর ধরে চতুর্থ স্টেজে রয়েছি। ভাল খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চা এবং সবথেকে জরুরি চিন্তামুক্ত থাকা। এটাই আমার সুস্থ থাকার চাবিকাঠি। লকডাউন আমার জন্য মানসিক ভাবে খুব কঠিন ছিল। আজ শরীরচর্চা করে ভাল লাগছে।’ সেই সঙ্গে তিনি আরো জানিয়েছেন, কর্মহীন হলেও নিজের ও মা বাবার খাবারটুকু তিনি জোগাড় করতে পারছেন, এর জন্য নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন সুমনা।