সুন্দরবনের জলদস্যু গ্রেফতার ।উদ্ধার প্রচুর অস্ত্র ও গুলি বোমা

 

বাবলু প্রামাণিক সুন্দরবনঃ

সুন্দরবন থেকে গাছ থেকে পশু হারিয়ে গিয়েছিল। আবার নতুন করে কোন পশু ও গাছ না যাতে হারাতে হয় তার জন্য বারুইপুর পুলিশ জেলা হওয়ার পর সুন্দরবন জুড়ে জলদস্যুদের তাণ্ডব প্রায় নেই বললেই চলে। তার একমাত্র কারণ নদী পথ জুড়ে কোস্টাল থানা গুলির দিনরাত টহলদারি ও বারুইপুর পুলিশ জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের সদা তৎপরতা। যার ফলে আমরা প্রায় দেখি সুন্দরবন এলাকা থেকে একের পর এক ডাকাত দল গ্রেপ্তার হয়েছে, বাংলাদেশি জলদস্যু ধরা পড়েছে ও বাংলাদেশ থেকে আশা অনুপ্রবেশ কারী গ্রেপ্তার হয়েছে।আর সেই তৎপরতার ফসল সুন্দরবন এ ডাকাতির ছক বানচাল। মঙ্গলবার রাতে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ এর কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে যে, বুধবার ভোড় রাতে কুলতলীর কইখালি বাজারে একটি ডাকাত দল ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হবে। আর এই খবর পাওয়া মাত্র দেরী করেনি স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের ওসি লক্ষ্মীকান্ত বিশ্বাস। কুলতলী থানার ওসি সুমন দাস কে সঙ্গে নিয়ে ১১ জনের একটি দল গঠন করা হয়। যার মধ্যে ৫ জন স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের ও ৬ জন কুলতলী থানার। প্রত্যেকেই অস্ত্র নিয়ে কৈখালী ঘাট সংলগ্ন বাজারে ডাকাতদলের অপেক্ষা করতে থাকে।তখন প্রায় রাত দেড়টা, হঠাৎই অপেক্ষারত লুকিয়ে থাকা পুলিশ কর্মীদের নজরে আসে বেশ কিছু লোক কৈখালী বাজার সংলগ্ন ঘাটের দিকে এগিয়ে আসছে। তাদের প্রত্যেকেরই মুখে রুমাল বাধা। আর বেশিরভাগেরই কাঁধে বড় বন্দুক ঝোলানো। দলটি প্রায়.৯ জনের।

 

আর সময় নষ্ট না করেই ১১ জনের পুলিশ দলটি চারিদিক থেকে ডাকাত দলটি কে ঘিরে ধরে। ডাকাতদের মুখে টর্চের আলো মেরে আত্মসমর্পণ করতে বলে। সাথে সাথে ৬ জন ডাকাত মাটিতে বন্দুক ফেলে হাত উঁচু করে দাঁড়ায়। কিন্তু তিনজন সেখান থেকে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায়।গ্রেপ্তার হওয়া ৬ ডাকাত এর কাছ থেকে উদ্ধার হয়, ছটি সিঙ্গেল ব্যারেল লং পাইপ গান, একটি ওয়ান শুটার শর্ট পাইপ গান, .12 বোরের কুড়িটি তাজা কার্তুজ, .8 এম এম বোরের দুটি তাজা কার্তুজ, দুটি তাজা বোমা ও চারটি মোবাইল ফোন। গ্রেফতার হওয়া ডাকাতের নাম ১। খালেক মণ্ডল বয়স ৩৩ বাড়ি উত্তর ২৪ পরগণার বসিরহাট, ২। মইদুল ইসলাম বয়স ৩৫ বাড়ি উত্তর ২৪ পরগণার বসিরহাট, ৩।

IMG 20190807 WA0017

নূর হোসেন গাজী বয়স ২০ বাড়ি উত্তর ২৪ পরগণার হাসনাবাদ, ৪। কুতুব উদ্দিন মোল্লা বাড়ি উত্তর ২৪ পরগণার হাসনাবাদ, ৫। গোপাল মন্ডল বাড়ি উত্তর ২৪ পরগণার নিউ টাউন, ৬। সজীব চক্রবর্তী বয়স ২১ বাড়ি উত্তর ২৪ পরগণার বনগ্রাম এলাকায়। ধৃতদেরকে জেরা করে জানা যায়, তারা কুলতলির কৈখালী গেস্ট হাউসে ভোড় বেলায় ডাকাতির ছক কষেছিল। যদিও তারা এই বিপুল অস্ত্র ভান্ডার নিয়ে সত্যি ই কি গেস্ট হউসে ডাকাতি করতো, নাকি জলপথে তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারী পুলিশদের। আর সেই ছক বানচাল হওয়ায়, বড়োসড়ো ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেল সুন্দরবনের পর্যটন ব্যবসা। আর এই দলটিকে ধরাটা খুব বড়সড় সাফল্য বলেই মনে করছে বারুইপুর পুলিশ জেলার আধিকারিকরা

সম্পর্কিত খবর