বাংলাহান্ট ডেস্ক : শীত মানে ভ্রমণপিপাসু বাঙালির সোনায় সোহাগা। উষ্ণ-মিঠে রোদ গায়ে মেখে পর্যটন প্রিয় বাঙালি বেরিয়ে পড়ে প্রকৃতির সন্ধানে। তবে শীতের মতো বছরের অন্যান্য সময়েও বাঙালির প্রিয় ডেস্টিনেশনের তালিকায় থাকে সুন্দরবন (Sundarban)। নদীর চড়ে বসে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের রোদ পোহানোর দৃশ্য দেখার জন্য শীতকালের থেকে সেরা সময় আর কিইবা হতে পারে?
দর্শন মিলবে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারেরও (Royal Bengal Tiger)
বিশেষ করে শীতের সময় পর্যটকদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে ওঠে সজনেখালি। সজনেখালি পক্ষী প্রেমীদের জন্য শীতকালে যেন এক টুকরো স্বর্গ। সবুজে ঘেরা সজনেখালিতে শীতের সময় দেখা মিলতে পারে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারেরও (Royal Bengal Tiger)। সজনেখালির পাখিরালয় এবং সজনেখালি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য এই শীতে অপেক্ষা করে রয়েছে আপনাদের।
বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য হিসাবে ১৯৭৬ সালে ঘোষণা করা হয় সজনেখালির নাম। ৩৬৩ বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত এই অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে গেছে গোমর নদী। এখানে যে পাখিরালয়টি রয়েছে সেখানে দেখা মিলবে অসংখ্য রংবেরঙের পাখির। তার সাথে দেখা পেতে পারেন হরিণ, বুনো শূকর, বাঁদরেরও। যদি ভাগ্য সহায় হয় তাহলে দর্শন হতে পারে রয়্যাল বেঙ্গলেরও (Royal Bengal Tiger)।
আরোও পড়ুন : একের পর এক ঝটকা! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর এবার বিশ্বকাপ খেলতেও পাকিস্তানে যাবে না টিম ইন্ডিয়া
সজনেখালির ওয়াচ টাওয়ার থেকেও স্বাদ নিতে পারেন বন্য প্রকৃতির। অভয়ারণ্য ছাড়াও ঘুরে দেখার মতো দর্শনীয় স্থান রয়েছে এখানে। বনবিবি ও দক্ষিণ রায়ের মন্দির পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। এছাড়া নদী পথে ঘুরে আসতে পারেন সুধন্যখালি, দোবাঁকা, নেতিধোপানি থেকে। চাইলে বিদ্যা নদীর তীরে গোসাবা থেকেও ঘুরে আসা যায় সহজেই।
হ্যামিলটন বাংলো, ১৯০৬ সালে তৈরি প্রোটেস্ট্যান্ট চার্চ ইত্যাদি গোসাবার জনপ্রিয় ভ্রমণকেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন দফতরের ট্যুরিস্ট লজ রয়েছে সজনেখালিতে। শীতের মরশুমে আগে থেকে বুকিং করে যাওয়াই ভালো। তাই যারা শীতের উইকেন্ডে চাইছেন অ্যাডভেঞ্চারের ছোঁয়া, তারা নিশ্চিন্তে দুটো দিন কাটিয়ে আসতে পারেন সজনেখালি (Sajnekhali) থেকে।