বঙ্গ বিজেপির দায়িত্বে এবার ত্রিপুরায় গেরুয়া ঝড় তোলার কাণ্ডারি সুনীল দেওধর, সরবেন অমিত মালব্য

বাংলাহান্ট ডেস্ক : একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর কার্যতই টালমাটাল বঙ্গ বিজেপির সংগঠন। দলের মধ্যে স্পষ্ট হতে শুরু করেছে ফাটলও। তাই এবার বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক বদলের পথেই হাঁটছে গেরুয়া শিবির। অমিত মালব্যকে সরিয়ে সুনীল দেওধরকে রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক পদ দেওয়া হতে পারে এমনটাই খবর সূত্র মারফত। বিধানসভা নির্বাচনে হারের পর থেকে দলের মধ্যে অসন্তোষও দেখা গিয়েছে মালব্যকে ঘিরে। তাই এবার বাংলা ভাষায় পারদর্শী সুনীল দেওধরকেই রাজ্যের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিতে চায় বিজেপি।

বিধানসভা নির্বাচনে কার্যতই তৃণমূলের কাছে গোহারা হারে বিজেপি। তারপর থেকেই রাজ্যে নড়বড়ে দলের সংগঠন। এমনকি দলের মধ্যে তৈরি হচ্ছে বিভেদ। বিদ্রোহী হয়ে দল ছেড়েছেন একাধিক তাবড় নেতাও। দিলীপ ঘোষ রাজ্য সভাপতি পদ ছাড়ার পর থেকে সুকান্ত মজুমদারের আমলে ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে যেন চোখে লাগছে সংগঠনের বেহাল দশা। একের পর এক নির্বাচনে ক্রমশ নিম্নমুখী জয়ের গ্রাফ৷ পুরভোটেও প্রায় মুছে যাওয়ার পথে বিজেপি। এরই মধ্যে দলের রাজ্য ও জেলা কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন বহু প্রবীণ নেতা। ফলে ক্ষোভ পুঞ্জিভূত হয়েছে সেখানেও। রাজ্যে এহেন ছত্রভঙ্গ অবস্থায় দাঁড়িয়ে পর্যবেক্ষক তথা সর্বভারতীয় আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যর দিকেই আঙুল তুলছেন দলের বহু নেতা। তাঁর বাংলা না জানা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এই পরিস্থিতিতে তাই দলের পর্যবেক্ষক পদে বাংলা জানা, বাংলা বোঝা, সংগঠনে দক্ষ কোনও নেতাকেই চাইছে বঙ্গ বিজেপি।

   

আর এই জায়গা থেকেই উঠে এসেছে ত্রিপুরা জয়ের কাণ্ডারি সুনীল দেওধরের নাম। জানা যাচ্ছে বর্তমানে বাংলার দুই শীর্ষ নেতা দিলীপ ঘোষ এবং সুকান্ত মজুমদারের পছন্দ দেওধরকেই। যদিও খাতায় কলমে রাজ্যের প্রধান পর্যবেক্ষক হিসেবে এখনও কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র নামই রয়েছে কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর তাঁর টিকির দেখাও মেলেনি বাংলায়। তাঁর এহেন কাজে দলের মধ্যেই ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। ট্যুইট করে কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে এক হাত নেন প্রবীণ বিজেপি নেতা তথাগত রায়। কৈলাসের কলকাতা না আসার সুযোগে বাংলার একাধিপত্যে পর্যবেক্ষক চালাচ্ছিলেন মালব্য। কিন্তু তাঁকে নিয়েই দলে তৈরি হয় ক্ষোভ।

বিজেপির অন্দর কার্যতই দুটি ভাগে বিভক্ত বর্তমানে। বিক্ষুদ্ধ দলের অভিযোগের তীর অমিত মালব্য এবং রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীর দিকেই৷ দলের একাধিক নেতার নাম কমিটি থেকে বাদ পড়ার পিছনে মালব্যর হাত বলেই দাবি বিদ্রোহী এক নেতার। তাঁর বিরুদ্ধে জমা পড়েছে লিখিত অভিযোগও। সেই কারণেই এবার অমিত মালব্যর ডানা খানিক ছেঁটে সুনীল দেওধরকে গদিতে বসাতে চায় শীর্ষ নেতৃত্ব। যদিও কতখানি খর্ব করা হতে চলেছে তাঁর ক্ষমতা তা অবশ্য এখনও কিছুই জানা যায়নি।

Avatar
Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর