কর্তব্যে অবিচল! ধারাভাষ্য চলাকালীন মায়ের মৃত্যু, সংবাদ পেয়েও কাজ চালিয়ে গেলেন গাভাস্কর

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: হৃদয়বিদারক খবর প্রকাশ্যে এলো সুনীল গাভাস্কার ভক্তদের জন্য। তারকা ক্রিকেটার বড়দিনের দিন হারিয়ে ফেললেন নিজের মা-কে। মৃত্যুকালে সুনীল গাভাস্কারের মা, মিনা গাভাস্কারের বয়স হয়েছিল ৯৫। সুনীল গাভাস্কারের একজন ক্রিকেট বিশ্বের কিংবদন্তি হয়ে ওঠার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল তার মায়ের।

সুনীল গাভাস্করের মা দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন যা এই বয়সে এসে অত্যন্ত স্বাভাবিক। রবিবার মুম্বাইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিজের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন এই রত্নগর্ভা। তিনি ছিলেন প্রাক্তন বোম্বে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাধব মন্ত্রী-র ভগিনী।

সুনীল গাভাস্কার বরাবরই তার নিজের সাফল্যের জন্য তার বাবা মনোহরের অবদানের পাশাপাশি নিজের মায়ের কৃতিত্বের কথাও সকলের সামনে প্রকাশ্যে উল্লেখ করে এসেছেন। গাভাস্কার যখন ছোট ছিলেন এবং টেনিস বলে ক্রিকেট খেলতেন তখন তার মা-ই হাত ঘুরিয়ে ছেলের বোলারের অভাব পূরণ করতেন।

gavaskar mother

একদিন এমন করেই মায়ের সঙ্গে খেলার সময় গাভাস্কারের একটি বেপরোয়া শট সপাটে এসে লাগে তার মায়ের নাকে। শটের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে নাক থেকে রক্ত পড়তে শুরু করে, যা দেখে খুবই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন ছোট্ট সুনীল। কিন্তু তার মা ছিলেন অত্যন্ত শক্ত চরিত্রের মহিলা, যার জন্য কিছুক্ষণ পরে নাক মুছে ফের ছেলেকে বোলিং করতে শুরু করেন তিনি। তিনি নিজের ছেলের সম্পর্কে একটি বইও লিখেছেন যার নাম “পুত্র ভাবা আইসা”। সুনীল গাভাস্কার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে শুরু করার পর থেকে একদিন ও মাঠে যাননি তিনি, কারণ তার বিশ্বাস ছিল তা ছেলের জন্য একটা অমঙ্গলের ব্যাপারে হবে।

মায়ের মৃত্যুর খবর বাংলাদেশ বনাম ভারত ম্যাচের ধারাভাষ্য করার সময় পেয়েছিলেন সুনীল। কিন্তু তিনিও তার মায়ের মতোই শক্ত মানসিকতার। তাই ধারাভাষ্যর মাঝে এই খবর আসলেও নিজের কাজ ফেলে রেখে ভারতে চলে আসেননি তিনি। নিজের মন শক্ত করে নিজের কাজ শেষ করেছেন সুনীল গাভাস্কার।


Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর