বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: সুনীল নারায়ণকে বরাবরই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের একজন কিংবদন্তি বোলার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সব রকমেট টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে তিনি নিয়েছেন ৪০০-এর বেশি উইকেট। কলকাতা নাইট রাইডার্স আসন্ন মরশুমের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই কিংবদন্তি খেলোয়াড়কে ৬ কোটি টাকায় ধরে রেখেছে। তবে আইপিএল যারা নিয়মিত ফলো করেন তারা জানবেন দলের প্রয়োজনে সুনীল ব্যাট হাতেও অবদান রাখতে পারেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের একটি ম্যাচে তিনি মাত্র ১৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন। শুধু তাই নয়, তার ৫৭ রানের ইনিংসে তিনি বাউন্ডারি থেকেই ৫৬ রান করেছেন। তার এই ইনিংসের দৌলতে তার দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ফাইনালে উঠেছে।
ম্যাচে প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ১৪৮ রান করে। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের এই ম্যাচে চট্টগ্রামের দলের পক্ষে ৪৪ রান করেন মেহেদি হাসান। এছাড়া বাংলাদেশকে অনুর্ধ ১৯ বিশ্বকাপ জেতানো আকবর আলীও ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন। মঈন আলী এবং শহিদুল ইসলাম ৩ টি করে উইকেট নেন। সুনীল নারায়ণ উইকেট না পেলেও কৃপণ বোলিং করে ৪ ওভারে মাত্র ২৪ রান দেন।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স প্রথম বলেই লিটন দাসের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। এরপরই শুরু হয় সুনীল নারায়ণ শো। ১৩ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন তিনি। টি টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় দ্রুততম অর্ধশতরান। শেষ পর্যন্ত ১৬ বলে ৫৭ রান করে আউট হন তিনি। মারেন ৬টি ছক্কা ও ৫টি চার। অর্থাৎ বাউন্ডারি থেকে মাত্র ৫৬ রান করেন তিনি। এই ইনিংসের পর নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএলে করা ১৭ ও ১৫ বলে করা অর্ধশতরানের ইনিংসগুলিকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন তিনি।
৩৩ বছর বয়সী সুনীল নারায়ণ টি টোয়েন্টিতে ব্যাট হাতে আগেও ভালো পারফরম্যান্স করেছেন। তিনি ২৩৪ টি ইনিংসে ব্যাট করে ১৫ গড়ে ২৮৬৯ রান করেছেন। তার স্ট্রাইক রেট প্রায় দেড়শো-র কাছাকাছি। এই ফরম্যাটে তার সর্বোচ্চ রান ৭৯।