বাংলাহান্ট ডেস্ক : কেটে গেছে ৫ মাস, এখনো কিছু মাস লাগবে মহাকাশ থেকে ফিরতে। তবে এরই মধ্যে নাসার মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামসের (Sunita Williams) স্বাস্থ্য নিয়ে শুরু হয়েছে উদ্বেগ। সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসে সুনিতা ও তাঁর সহকর্মী মহাকাশচারী বাচ উইলমোরের কিছু ছবি। ছবিতে মহাকাশচারীদের রুগ্ন শরীর দেখে রীতিমত কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে গেছে চিকিৎসকদের।
মহাকাশে সুনীতার (Sunita Williams) খাবারের হদিশ
যদিও বার্তা প্রেরণ করে সুনিতা জানিয়েছেন, চিন্তার কিছু নেই। তাঁরা ভালই আছেন। পৃথিবীর মতো মহাকাশে (Space) স্বাভাবিক খাদ্যের জোগান নেই। তাই আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে মহাকাশচারীরা সেখানে কী ধরনের খাবার খেয়ে বেঁচে আছেন? সম্প্রতি সেই সংক্রান্ত তথ্যই সামনে এসেছে।
একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিৎজা, রোস্ট চিকেন এবং চিংড়ি ককটেল খেয়ে ‘মহাকাশ যাপন’ করছেন সুনিতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) এবং বুচ উইলমোর। তবে আরও একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মহাকাশচারীদের জন্য স্পেস স্টেশনে পুষ্টিকর খাদ্যের জোগান সীমিত। খুব একটা পুষ্টিকর খাবার আর মজুত নেই সেখানে।
আরোও পড়ুন : হাতে রাখুন একটাই টিকিট, ঘোরা হয়ে যাবে ১৩টি দেশ! বিশ্বের এই দীর্ঘতম ট্রেন জার্নির কথা জানেন?
নাসার (NASA) পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয়েছে প্রতিদিন মহাকাশচারীদের জন্য ৩.৮ পাউন্ড খাবার থাকে। যদি হঠাৎ করে মহাকাশ মিশনের দিন বৃদ্ধি করতে হয়, তাহলেও অতিরিক্ত খাদ্য সরবরাহ রয়েছে। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে সুনিতা ও তাঁর সাথীর জন্য গুঁড়ো দুধ, পিৎজা, রোস্ট চিকেন, চিংড়ি ককটেল এবং টুনা সহ বিভিন্ন ধরনের খাবার রয়েছে।
আরোও পড়ুন : পার্থর মতো ঘটনা! ‘সরকারি আইনজীবী হয়েও কিভাবে…?’, অর্জুন মামলায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট
এমনকি বিভিন্ন মেডিকেল টিমও নিশ্চিত করেছে যে মহাকাশচারীরা স্পেস স্টেশনে পর্যাপ্ত ক্যালোরি গ্রহণ করছেন। এক বিশেষজ্ঞের কথায়, সুনিতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) এবং বাচ উইলমোরের খাদ্যের অভাবে ওজন কমেনি। মিশন শুরুর প্রথম দিনগুলিতে বিভিন্ন তাজা ফল ছিল। তবে সময়ের সাথে সেগুলি ফুরিয়ে গেছে।
বর্তমানে তাঁরা খাচ্ছেন প্যাকেটজাত বা ফ্রিজের শুকনো ফল এবং সবজি। নাসার বিশেষজ্ঞরা প্রতি মুহূর্তে নজর রাখছেন স্পেস স্টেশনে আটকে পড়া এই দুই মহাকাশচারীর উপর। আশা করা যাচ্ছে স্পেসএক্স ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ফিরিয়া আনা হতে পারে সুনিতা উইলিয়ামস ও বাচ উইলমোরকে।