বাংলাহান্ট ডেস্ক: করোনার প্রভাবে যে পরিমাণে দেশে বেকারত্বের হার বেড়েছে তা সত্যিই চিন্তার বিষয়। বারংবার লকডাউন আনলকডাউনের জেরে কর্মী ছাঁটাই করেছে বহু সংস্থাই। বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিনোদন জগতের শিল্পী, কলাকুশলীরা। একাধিক লকডাউনের জেরে বন্ধের মুখ দেখেছে ইন্ডাস্ট্রি। আনলকডাউন হলেও অনেক জায়গায়ই পঞ্চাশ শতাংশ কলাকুশলী নিয়ে চলছে কাজ।
এর মাঝেও যদি সেটে কেউ করোনা আক্রান্ত হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কাজ। এতে সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন দৈনিক মজুরির শ্রমিকরা। প্রতিদিনের আয়ের উপর নির্ভর করেই চলে তাদের সংসার। এই শ্রমিকদের দুর্দশার কথা চিন্তা করে এবার চিন্তা প্রকাশ করলেন অভিনেত্রী সানি লিওন (sunny leone)।
সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে সানি বলেন তাঁর মন ভেঙে যায় ওই শ্রমিকদের করুণ পরিস্থিতির কথা ভাবলে। তাঁর কথায়, একজন অভিনেতা শুটিং বন্ধ থাকলেও খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে পারবেন। কিন্তু দৈনিক মজুরির শ্রমিকদের পক্ষে তা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, অভিনেতা অভিনেত্রীরা হয়তো এক মাস কাজ না করেও থাকতে পারেন। তাতে তাদের কিছু সমস্যা তো হবেই।
কিন্তু সানি ভাবেন সেটের স্পট বয়, লাইট বয় ও অন্যান্য কলাকুশলীদের কথা যাদের পরিবারের জন্য আয় করতে হয়। মেকআপ আর্টিস্ট, হেয়ার স্টাইলিস্ট, টেকনিশিয়ানরা অভিনেতা অভিনেত্রীদের কাজের উপরেই নির্ভর করে থাকেন। সানি আরো বলেন, এটা প্রতিযোগিতার সময় নয়। যে আয় করতে পারছে ও পরিবারের মুখে খাবার তুলে দিতে পারছে সেই জীবনের খেলায় জিতছে।
প্রসঙ্গত, তথাকথিত প্রথম সারির অভিনেত্রী না হলেও বলিউডে বেশ জনপ্রিয় সানি লিওন। সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় সকলকে তিনি আপন করে নিয়েছেন, ভালবাসতে বাধ্য করেছেন। সেই সঙ্গে অতীত পেছনে ফেলে এগিয়ে চলেছেন আরও উজ্জ্বল এক ভবিষ্যতের দিকে।
বেশ অনেকদিন আগেই নীল ছবির জগতকে বিদায় জানিয়ে বলিউডে প্রবেশ করেছিলেন তিনি ‘জিসম টু’র হাত ধরে। তারপর একের পর এক নতুন নতুন সুযোগ আসতে থাকে তাঁর জীবনে। কেরিয়ারের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনও গুছিয়ে নিয়েছেন সানি।