বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শাস্তি হিসেবে জামিন খারিজ! হাই কোর্ট এবং নিম্ন আদালতগুলিকে এবার এই নিয়ে সতর্ক করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বিগত প্রায় ১০ বছর ধরে এমন একটা ধারা দেখা যাচ্ছে, যা অবাঞ্ছিত, এদিন মন্তব্য করে এদেশের শীর্ষ আদালত।
শাস্তি হিসেবে জামিন খারিজ নিয়ে বিরাট নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)
সোমবার সর্বোচ্চ আদালতে একটি মামলা উঠেছিল। সেই মামলার শুনানির সময়ই শাস্তি হিসেবে জামিন (Bail) খারিজ করার প্রবণতা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। আবেদনকারীর জামিন মঞ্জুর করার পাশাপাশি এদিন হাই কোর্ট (High Court) এবং নিম্ন আদালতগুলিকে কার্যত সতর্ক করা হয়। শীর্ষ আদালতের এই রায় নিয়েই এবার শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি জাল নোট রাখার অপরাধে মুম্বই বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় জাভেদ গুলাম নবি শেখ নামের এক ব্যক্তিকে। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির সঙ্গেই ইউএপিএ ধারায় মামলা করা হয়। বিগত ৪ বছর ধরে জেলবন্দি রয়েছেন জাভেদ। তবে এই সময়কালে চার্জ গঠন করে উঠতে পারেননি তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুনঃ সব্জির দাম নিয়ে রেগে লাল মমতা ব্যানার্জী! ১০ দিনের মধ্যেই মানতে হবে এই নির্দেশ
জাভেদ হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন। তবে তাঁর সেই আর্জি খারিজ করে জানানো হয়, তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর ধারায় মামলা এবং এদেশের অর্থনীতি ধ্বংসের মতো বিরাট অভিযোগ থাকার কারণে তাঁকে জামিন দেওয়া যাবে না। উচ্চ আদালতে আবেদন করে সুরাহা না হওয়ায় সোজা শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন জাভেদ। সোমবার এই মামলার শুনানির সময়ই শাস্তি হিসেবে জামিন খারিজের প্রবণতা নিয়ে হাই কোর্ট ও নিম্ন আদালতগুলিতে সতর্ক করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চ।
এদিন এই মামলার রায়দানের সময় আদালত বলে, বছর দশেক ধরে বিচারের আগেই শাস্তি হিসেবে জামিন না দেওয়ার একটা ধারা দেখা যাচ্ছে হাই কোর্ট এবং নিম্ন আদালতগুলিতে। এটা অবাঞ্ছিত। বিচার প্রক্রিয়ায় গতি আনতে হবে।
জাভেদের জামিনের আর্জি মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট বলে, বিগত ৪ বছরে চার্জ গঠন না হলেও আবেদনকারী বন্দি অবস্থায় জীবন কাটিয়েছেন। তদন্তকারীরা এই মামলায় ৮০ জনের সাক্ষী নিতে চাইলেও সেই প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয় না। এমতাবস্থায় আবেদনকারীকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জামিন খারিজ করে বন্দি রাখা যায় না, সেই কারণে তাঁর জামিনের আর্জি মঞ্জুর করা হল।