বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের অত্যন্ত ভরসার জায়গা আদালত। কিন্তু এবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতির ভূমিকা। সম্প্রতি ওই বিচারপতির বাংলো থেকেই উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি বেহিসাবি নগদ টাকা। বিচারপতির বাংলোয় বেহিসেবি সেই টাকা উদ্ধারের এই ঘটনায় এবার হস্তক্ষেপ করল দেশের সর্বোচ্চ আদালত (Supreme Court)।
সুপ্রিম (Supreme Court) হস্তক্ষেপে গঠিত হল সদস্যের তদন্ত কমিটি
জানা যাচ্ছে, দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তে হাই কোর্টের তিন বিচারপতির তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন দেশের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। গত সপ্তাহে দোলের ছুটি চলাকালীন আচমকা আগুন লেগে গিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বাড়িতে। যদিও সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না বিচারপতি নিজে।
জাস্টিস বর্মার বাড়ির লোকেদের দেওয়া খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে দমকল বাহিনী। আগুন নেভানোর সময়েই তাঁরা বিচারপতির বাড়িতে প্রচুর নগদ টাকার হদিশ পান। খবর চাউর হতেই পুলিশের জেরার মুখে পড়েন বিচারপতির পরিবারের সদস্যরা। যদিও তাঁরা কেউই কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি।
অন্যদিকে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই প্রশ্নের মুখে পড়ে বিচারপতি যশবন্ত বর্মার ভূমিকা। জানা যাচ্ছে, এই নগদকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত জাস্টিস বর্মা তদন্তকারী আধিকারিকদের যথাযথ তথ্য দিতে পারেননি। খোদ দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতির বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়ে যায় দেশজুড়ে।
আরও পড়ুন: তাপমাত্রা নেমেছে ৯ ডিগ্রিতে! লন্ডনে পৌঁছলেন মমতা, কোথায় থাকবেন ৭ দিন?
ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আলোচনায় বসে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি খন্নার নেতৃত্বে কলেজিয়াম। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে দিল্লি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। এবার এই ঘটনাতেই হস্তক্ষেপ করল শীর্ষ আদালত। জানা যাচ্ছে প্রধান বিচারপতির তরফে এই নগদকাণ্ডে এবার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি শীল নাগু, হিমাচল প্রদেশ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি জিএস সান্ধাওয়ালিয়া এবং কর্নাটক হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি অনু শিবরমন। অন্যদিকে এই কাণ্ডে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতিও। আদালতের তরফে সেই রিপোর্টও খতিয়ে দেখা হবে। তবে বিষয়টির নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিচারপতি বর্মাকে বিচার প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।