বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টে হাজিরা দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা (BP Gopalika) এবং অর্থসচিব মনোজ পন্থ। আগেই জানা গিয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের মোট ১৮টি রাজ্যের শীর্ষকর্তাদের সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই অনুযায়ী এদিন সর্বোচ্চ আদালতে হাজিরা দিলেন তাঁরা।
সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কেন হাজিরা দিতে হল মুখ্যসচিব, অর্থসচিবকে?
শীর্ষ আদালতে অভিযোগ উঠেছিল, পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) সহ দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্য বিচারবিভাগীয় বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুসারে বিচারপতি, বিচারবিভাগীয় অফিসারদের মাইনে, রিটায়ারমেন্ট পরবর্তী সুযোগ সুবিধা, বকেয়া পেনশনের টাকা দিচ্ছে না। যে যে রাজ্যের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছিল তাদের মুখ্যসচিব এবং অর্থসচিবদের হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
- শীর্ষ আদালতে কী বলল রাজ্য?
পশ্চিমবঙ্গ সহ ১৮টি রাজ্যের শীর্ষকর্তাদের সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud) বেঞ্চ। সেই সঙ্গেই বলা হয়েছিল, যদি হাজির না হন তাহলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে। এরপর শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মতো সশরীরে হাজিরা দিলেন মুখ্যসচিব এবং অর্থসচিবরা।
আরও পড়ুনঃ BJP-র বাংলা বনধে তুলকালাম! গ্রেফতার লকেট, বাড়ি থেকে সজল ঘোষকে আটক করল পুলিশ
এদিন রাজ্যের তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) বলা হয়, বিচারবিভাগীর বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুসারে বিচারপতি বিচারবিভাগীয় অফিসারদের মাইনে, রিটায়ারমেন্ট পরবর্তী সুযোগ সুবিধা, বকেয়া পেনশনের বিষয়ে সকল তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছে। রাজ্যের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী জানান, যদি পশ্চিমবঙ্গের তরফ থেকে কোনও খামতি থাকে তাহলে সেটাও দেখা হবে।
এদিন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘মুখ্যসচিব, অর্থসচিবদের দিল্লিতে ডাকতে আমাদের কোনও খুশি হয় না। তবে এই মামলায় রাজ্যের আইনজীবীরা নিয়মিত গরহাজির ছিলেন’। CJI বলেন, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে আর কোনও পদক্ষেপ গ্রহণের দরকার নেই। যদি কোনও বিল থাকে তাহলে তা ৩ সপ্তাহের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ওড়িশা, কেরল, বিহার, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, মধুপ্রদেশ, দিল্লি, অসম, ছত্তীসগঢ়, হরিয়ানার মতো রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং অর্থসচিবদের হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। জানা যাচ্ছে, প্রত্যেকটি রাজ্যের তরফ থেকে যাবতীয় কিছু মিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এদিন এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি বলেন, এর পরেও যদি কারোর কোনও রাগ থাকে তাহলে সেটা হাইকোর্টের কমিটি খতিয়ে দেখবে।