বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিট মামলার শুনানিতে ধুন্ধুমার কাণ্ড! সিনিয়র আইনজীবীর ওপর রেগে আগুন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। ব্যাপারটা এতদূর গড়িয়েছিল যে সিকিউরিটি ডাকার কথাও বলেন চিফ জাস্টিস। শুধু তাই নয়, ওই আইনজীবীকে তীব্র ভর্ৎসনাও করেন তিনি।
আইনজীবীর ওপর কেন চটলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি?
নিট মামলা (NEET Case Hearing) নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই উত্তাল দেশ। ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষায় দুর্নীতির মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি চলছিল। সেই সময় একজন আবেদনকারীর আইনজীবীর বক্তব্যের মাঝে বাধা সৃষ্টি করায় এক সিনিয়র আইনজীবীর ওপর বেজায় চটে যান প্রধান বিচারপতি। দুই পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদও হয়।
এদিন বেঞ্চের সামনে বক্তব্য রাখছিলেন, একজন পিটিশনকারীর আইনজীবী নরেন্দ্র হুডা। তাঁর বক্তব্যের মাঝেই আইনজীবী নেদুমপারা (Lawyer Mathews Nedumpara) বলে ওঠেন, ‘আমার কিছু বলার আছে’। একথা শুনে চিফ জাস্টিস চন্দ্রচূড় বলেন, আইনজীবী হুডার বলা হয়ে গেলে আইনজীবী নেদুমপারা নিজের কথা বলতে পারেন। একথা শুনে আইনজীবী নেদুমপারা বলেন, ‘আমি এখানে সবচেয়ে সিনিয়র’।
আরও পড়ুনঃ ‘শাস্তি সমর্থন করি না’! রাহুল-কাণ্ডে সরব কুণাল, তৃণমূল নেতার টার্গেটে কে? তোলপাড় টলিউড!
একথা শুনেই বেজায় চটে যান প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)। তিনি পাল্টা বলেন, ’আমি আপনাকে সাবধান করছি। আপনি গ্যালারির সঙ্গে কথা বলবেন না। আমি এই আদালতের চার্জে আছি। সিকিউরিটি ডাকুন… ওনাকে বের করে দিন’। জবাবে আইনজীবী নেদুমপারা বলেন, ‘আমি বেরিয়ে যাচ্ছি’।
প্রত্যুত্তরে চিফ জাস্টিস বলেন, ‘আপনাকে একথা বলতে হবে না। আপনি বেরিয়ে যেতে পারে। আমি গত ২৪ বছর ধরে আইনব্যবস্থা দেখছি। এই আদালত কীভাবে চলবে সেটা কোনও আইনজীবীকে আমি বলতে দেব না’। আইনজীবী নেদুমপারা এরপর না দমে পাল্টা বলেন, ‘আমি ১৯৭৯ সাল থেকে দেখছি’। এই জবাব শুনে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমায় এমন কিছু জারি করতে হতে পারে যা হয়তো ন্যায্য হবে না। আপনি আর কোনও আইনজীবীর কথার মাঝে বাধা দেবেন না’।
উল্লেখ্য, আইনজীবী নেদুমপারা নিট মামলার একজন আবেদনকারীর আইনজীবী। এদিন তিনি আর একজন পিটিশনারের আইনজীবীর কথার মাঝে বারবার বাধা দেওয়ায় তাঁর ওপর চটে যান সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি। যদিও এই প্রথম নয়, এর আগে নির্বাচনী বন্ড মামলার শুনানিতে বারবার বাধা সৃষ্টি করেও চিফ জাস্টিসের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিলেন তিনি।