‘প্লিজ ৫০০ টাকা পাঠাও..,’ মেসেজ প্রধান বিচারপতির! সোজা পুলিশের কাছে ছুটলো সুপ্রিম কোর্ট

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের একটি মেসেজ! তাতেই একেবারে তোলপাড় কাণ্ড। সোজা পুলিশের কাছে ছুটল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। কী এমন লেখা ছিল সেই মেসেজে? ফাঁস হতেই কার্যত শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে। কী দিনকাল পড়ল! শুরু হয়েছে এমন চর্চা।

  • প্রধান বিচারপতির (Supreme Court) মেসেজে কী লেখা ছিল?

সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রযুক্তির দেদার উন্নতি হচ্ছে। আর সেই সঙ্গেই বাড়ছে ডিজিটাল প্রতারণা (Online Fraud)। সাধারণ মানুষ তো বটেই অনেক সময় তাবড় তাবড় তারকাদেরও এর শিকার হতে দেখা যায়। প্রায় রোজই মানুষ ঠকানোর নতুন নতুন কৌশল খুঁজে বের করেন কিছু অসাধু মানুষ। এবার যেমন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নাম করে টাকা হাতানোর প্ল্যান করা হয়েছিল।

  • ‘আটকে রয়েছি…’, লিখলেন প্রধান বিচারপতি!

সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে একটি মেসেজ বেশ ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud) টাকা চাইছেন। খুব বেশি নয়, মাত্র ৫০০ টাকা চেয়েছেন তিনি। আদালতে পৌঁছে সেই টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ OBC মামলাতে সিব্বলই ঘুরিয়ে দিল খেলা! আর বাতিল হবে না কোনো সার্টিফিকেট? SC-র আপডেট

প্রধান বিচারপতি (Chief Justice of India) লিখেছেন, ‘হ্যালো, আমি CJI। কলেজিয়ামের একটি জরুরি বৈঠক রয়েছে এবং আমি কনোট প্লেসে আটকে রয়েছি। তুমি কি আমায় দয়া করে ক্যাবের জন্য ৫০০ টাকা পাঠাতে পারবে? আমি আদালতে পৌঁছেই টাকাটা ফেরত দিতে দেব’।

সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতির থেকে এমন মেসেজ? যাদের যাদের কাছে এই বার্তা এসেছে, তাঁদের বুঝতে অসুবিধা হয়নি এটা ভুয়ো। এদিকে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের নজরে আসতেই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নির্দেশেই সাইবার সেলে অভিযোগ জানানো হয়েছে।

Supreme Court CJI DY Chandrachud online fraud

উল্লেখ্য, বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির উন্নতিকে প্রতারণার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন কিছু অসাধু মানুষ। কখনও ব্যাঙ্ক কর্মী হিসেবে ফোন করে, কখনও আবার অন্য কোনও পরিচয়ে টাকা হাতানোর ফাঁদ পাতছেন অনেকে। মাঝেমধ্যেই সাধারণ মানুষকে এমন অনলাইন প্রতারণার হাত থেকে সতর্ক করা হয়। তবু অনেকে এর শিকার হয়ে যান। এবার যেমন খোদ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতির নাম করে টাকা হাতানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে বিষয়টি নজরে পড়তেই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে শীর্ষ আদালত। সাইবার সেলে সাইবার প্রতারণার অভিযোগ করা হয়েছে।


Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর