বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি চলাকালীন ‘বিধি বহির্ভূত’ ভাষা ব্যবহার করেন এক আইনজীবী। সেটা কানে আসতেই গর্জে ওঠেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)। ‘এটা কোনও কফিশপ নয়’, স্পষ্ট বলেন তিনি।
আইনজীবীর মুখের ভাষায় চটে লাল প্রধান বিচারপতি (CJI DY Chandrachud)!
সম্প্রতি শীর্ষ আদালতে ২০১৮ সালের একটি মামলার শুনানি চলছিল। সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে রেসপন্ডেন্ট হিসেবে যোগ করেন আইনজীবী। সেটা দেখেই এই নিয়ে প্রশ্ন করেন সিজেআই চন্দ্রচূড়।
প্রধান বিচারপতি (CJI DY Chandrachud) জানতে চান, ‘এই আবেদন আর্টিকেল ৩২ সম্বন্ধিত। কীভাবে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে রেসপন্ডেন্ট হিসেবে একজন বিচারপতিকে যুক্ত করা যায়?’ এখানেই না থেমে তিনি বলেন, সংবিধানের ৩২ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে, জনসাধারণ যদি মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়, তাহলে সংবিধানে প্রতিকার চাওয়ার অধিকার রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সাসপেন্ড হতেই কুণালের দ্বারস্থ প্রান্তিক! শর্ট ফিল্মের রিলিজ পিছোবে? তুঙ্গে জল্পনা
প্রধান বিচারপতির মন্তব্য শোনার পরেই জবাব দিতে উদ্যত হন ওই আইনজীবী (Lawyer)। ইংরেজিতে বলে, ‘ইয়া ইয়া, দেন সিজেআই রঞ্জন গগৈ…’। কথা সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই ওই উকিলকে থামিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। মাঝপথেই তাঁকে চুপ করিয়ে বলেন, ‘এটা কোনও কফিশপ না। ইয়া ইয়া আবার কী কথা?’
সিজেআই চন্দ্রচূড় সাফ বলেন, ‘এই ইয়া শব্দ আমার একেবারে পছন্দ নয়। এই ধরণের ভাষা ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হবে না’। একইসঙ্গে ওই আইনজীবীকে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জন গগৈ একদা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘একজন বিচারপতির বিরুদ্ধে আপনি এভাবে মামলা দায়ের করতে পারেন না’।
জবাবে ওই আইনজীবী বলেন, রিটায়ার্ড বিচারপতি রঞ্জন গগৈ (Ranjan Gogoi) আমার আর্জি খারিজ করে দেন। আমার কোনও দোষ নেই। শ্রম আইন সম্বন্ধিত এই মামলা শোনা হোক, আমি অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুরকেও একথা বলেছিলাম। তবে সেটাও খারিজ হয়ে যায়।
একথা শোনার পর সিজেআই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud) বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করার সময় কোনও বিচারপতির বিরোধিতা করা যায় না’। আবেদনকারীকে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নাম বাদ দিতে হবে, স্পষ্ট জানান তিনি।