বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টের ৫০তম প্রধান বিচারপতি। ১০ নভেম্বর সিজেআইয়ের পদ থেকে অবসর নেবেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)। শুক্রবার ছিল তাঁর কর্মজীবনের শেষ দিন। ৯ এবং ১০ তারিখ যথাক্রমে শনি এবং রবিবার হওয়ায় শুক্রবারই বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয় চন্দ্রচূড়কে। এদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে অবসর গ্রহণের আগে এক তাৎপর্যপূর্ণ রায় দিয়ে গেলেন তিনি।
‘বুলডোজার জাস্টিস’ নিয়ে বিরাট রায় চন্দ্রচূড়ের (CJI DY Chandrachud)
সংবাদমাধ্যমের পাতায় মাঝেমধ্যেই স্থান করে নেয় ‘বুলডোজার জাস্টিস’ (Bulldozer Justice)। উত্তরপ্রদেশের বুকে এই ‘বুলডোজার নীতি’র জন্ম। আস্তে আস্তে দিল্লি, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশের মতো নানান রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে। অভিযুক্তদের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার এই নীতির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে।
সর্বোচ্চ আদালতের (Supreme Court) তরফ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত হোক বা দোষী, কারোর বাড়ি এভাবে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া যায় না। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই প্রবণতা তেমন কমেনি। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিজের কর্মজীবনের শেষ দিনে এই নিয়ে মুখ খোলেন চন্দ্রচূড়।
আরও পড়ুনঃ ১৮,০০০ থেকে সোজা ৩৪,৫৬০! একধাক্কায় বাড়বে সরকারি কর্মীদের বেতন! কবে মিলবে সুখবর?
বিদায়ী সিজেআই বলেন, ‘কোনও সভ্য দেশের বিচারব্যবস্থায় বুলডোজারের মাধ্যমে ন্যায়বিচার অজানা। কোনও রাজ্যের সরকারি আধিকারিক কিংবা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যদি এই ধরণের বেআইনি এবং অনৈতিক কার্যকলাপের অনুমতি প্রদান করা হয়, তাহলে মানতেই হবে যে তা খুবই ভয়াবহ বিষয়’।
এখানেই না থেমে বিদায়ী প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud) আরও বলেন, ‘সম্পত্তি ধ্বংস করে জনগণের কণ্ঠরোধ করা যাবে না। আবাস নিরাপত্তা সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার। রাজ্যকেও বাধ্যত এই নিয়ম মেনে নিতে হবে’। একইসঙ্গে কোনও অবৈধ নির্মাণ অথবা জমি দখলের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে চলার নির্দেশ দেন সিজেআই চন্দ্রচূড়।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)। প্রায় দু’বছর পর সেই পদ থেকে অবসর নিচ্ছেন। এই সময়কালে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় রায় দিয়েছেন তিনি। শেষ রায়েও বলে গেলেন, সম্পত্তির ধ্বংসের হুমকি দিয়ে জনগণের কণ্ঠস্বর রোধ করা যাবে না।