বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ, খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার। এরপর থেকে বাংলার নানান প্রান্তে তাঁদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এবার হাসপাতালের অন্দরে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়ানো নিয়ে বিরাট মন্তব্য করলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।
কী বলল আদালত (Supreme Court)?
সোমবার শীর্ষ আদালতে আরজি কর মামলার শুনানি ছিল। সেখানে সেখানে প্রতিবাদকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী বলেন, পরিচয়পত্র না দেখেই সিআরপিএফ সবাইকে এমারজেন্সি ওয়ার্ডে ঢুকতে দিচ্ছে। তাঁদের মধ্যে সিভিক ভলেন্টিয়াররাও (Civic Volunteers) রয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে ১ লাখেরও বেশি সিভিক ভলেন্টিয়ার আছে। আরজি কর কাণ্ডে অভিযুক্তও একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার। যে নামেই তাঁদের অভিহিত করা হোক না কেন, তাঁদের কোনও পরিচয়পত্র নেই।
- বিরাট মন্তব্য প্রধান বিচারপতির
একথা শোনার পর সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘যারা হাসপাতালের সুরক্ষার দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁদের সুনিশ্চিত করতে হবে, যে কেউ ইচ্ছা হলেই যেন এমারজেন্সি ওয়ার্ডে ঢুকে পড়তে না পারেন। তাহলে ডাক্তারদের নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত হবে? কারা এমারজেন্সি ওয়ার্ডে যেতে পারবেন সেটা সিআইএসএফকে নিশ্চিত করতে হবে’।
আরও পড়ুনঃ সংকটজনক অবস্থা সীতারাম ইয়েচুরির! ভর্তি হাসপাতালে, কী হয়েছে বাম নেতার?
এখানেই না থেমে বিচারপতি চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud) বলেন, কোনও একজন সিভিক ভলেন্টিয়ারকে সম্পূর্ণ এমারজেন্সি ওয়ার্ডে ঘুরে বেড়াতে দেওয়া যাবে না। কারণ সেখানে ডাক্তাররা কাজ ডিউটি করেন। বিচারপতি আরও বলেন, ‘সিআইএসএফকে বলুন ডাক্তারদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সব ধরণের ব্যবস্থা নিতে হবে’।
একথা শোনার পর সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা প্রধান বিচারপতিকে আশ্বস্ত করে বলেন, ডাক্তারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সিআইএসএফের তরফ থেকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সরকারি হাসপাতালের যত্রতত্র সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ‘দাপাদাপি’ যে আর চলবে না, এটা সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট।
উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালের চারতলার সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল মহিলা চিকিৎসকদের মৃতদেহ। পরবর্তীতে জানা যায়, ধর্ষিতা হয়ে খুন হয়েছেন তিনি। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সঞ্জয় নামের এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তর করা হলে সঞ্জয়কেও কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে তুলে দেওয়া হয়।