বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে শীঘ্রই অবসর নেবেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)। ২০২২ সালে এই দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন তিনি। আগামী নভেম্বর মাসে অবসর নেবেন। এবার তিনিই বললেন, বিচারপতিরা ভয়ের কারণে লুকিয়ে থাকতে পারেন না, তাঁদের নিজেদের ভীতির সম্মুখীন হতে হয়। কারণ বিচারপতিরা কোন মামলা শুনতে চান আর কোন মামলা শুনতে চান না সেটা ঠিক করার ‘লাক্সারি’ তাঁদের কাছে থাকে না।
নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)
শুক্রবার বম্বে হাইকোর্টে বম্বে বার অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এই নিয়ে মুখ খোলেন এদেশের প্রধান বিচারপতি (Chief Justice of India)। নিজের অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেন তিনি। বলেন, বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁকে কমার্শিয়াল মামলা শুনতে হতো। সেই ক্ষেত্রে বিশেষ অভিজ্ঞতা না থাকলেও তাঁর কিছু করার ছিল না।
সিজেআই চন্দ্রচূড়ের (CJI DY Chandrachud) কথায়, ‘বিচারপতি হওয়ার পর আমায় নিজের ভয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। বিচারপতিত্ব একজনকে তাঁর নিজের ভীতির সামনে এনে দাঁড় করিয়ে দেয়। আইনজীবী হিসেবে নিজের ভীতি লুকিয়ে রাখা সম্ভব। বলা যায়, আমি এই মামলা নেব না। কিন্তু বিচারপতি হিসেবে সেই লাক্সারি থাকে না। তখন প্রত্যেকদিন আপনার বোর্ডে যা থাকবে, আপনাকে উত্তর দিতে হবে’।
আরও পড়ুনঃ হাইকোর্টের নির্দেশে নিয়োগ শুরু হতেই নয়া ধাক্কা! কাউন্সেলিংয়ের মাঝেই SSC জানাল…
এরপরেই নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমি কমার্শিয়াল আইনজীবী ছিলাম না… তবে আদালতে প্রথম কিংবা দ্বিতীয় দিনেই আমি নিজের সবচেয়ে বড় ভয়ের সম্মুখীন হয়েছিলাম। যখন আমায় কমার্শিয়াল বেঞ্চে বসতে হয়েছিল’।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)। আগামী ১০ নভেম্বর তাঁর মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এরপর দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন সঞ্জীব খান্না। সিজেআই চন্দ্রচূড় নিজেই তাঁর নাম সুপারিশ করেছিলেন। ইতিমধ্যেই তাঁকে দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আগামী ১১ নভেম্বর এই দায়িত্ব গ্রহণ করবেন তিনি।